ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা করে বিএনপি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
‘রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার ব্যবস্থা করে বিএনপি’

ঢাকা: রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট (সনদ) দেওয়ার ব্যবস্থা বিএনপি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানের দোসরদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বসিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবর্তে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এলজিআরডি মন্ত্রী।

সভায় এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করে দেওয়ার পাশাপাশি প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনে স্বাধীন দেশের লাল সবুজের পতাকা ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাধীনতার সুফল যেন বাঙালি না পায় সে চেষ্টাই করে গেছে বিএনপি ও স্বাধীনতা বিরোধীরা।

সদ্য স্বাধীন দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি দেশে ফিরে দেখেন, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প-কারখানা, ব্যাংক-বীমাসহ সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাদ্য-অন্ন-বস্ত্রহীন দেশের সাত কোটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন দেশ গঠনের কার্যক্রম এবং এক বছরের মধ্যে ব্যাংক-বীমা, পুলিশ, বিডিআর, আনসার, কোট-কাচারিসহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে সুসংগঠিত করেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন বাংলার মাটি ও মানুষ দিয়ে উন্নয়নের শ্রেষ্ঠতম আসনে যাওয়া সম্ভব।

মন্ত্রী জানান, প্রতি ওয়ার্ডকে দশটি সাব-জোনে ভাগ করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে ডে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ, করোনা-ডেঙ্গুসহ সব সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য কাউন্সিলদের নির্দেশ দেন তিনি। কমিটিগুলোকে সক্রিয় রাখলে যেকোনো সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে ডিএনসিসি মেয়র, কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে নগরভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সবার প্রচেষ্টায় প্রিয় মাতৃভূমি দ্রুতই উন্নত ও সমৃদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এজন্যই স্বাধীনতার পূর্বে যেখানে একটি অর্থবছরে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বাজেট ছিল ৭৫০ কোটি টাকা, সেখানে বর্তমানে শুধুমাত্র ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাজেটই সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বেশি।

অনুষ্ঠানের ডিএনসিসি মেয়র আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিতরণের জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানের কাছে দুই লাখ মাস্ক হস্তান্তর করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২১
এসএইচএস/এমআরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।