বরিশাল: ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার আসামি হয়েছেন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত ১৪ আগস্ট তিনি করোনার ভ্যাকসিন নেন।
তিনি বলেন, ১৮ আগস্ট বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি যে বরিশালে গণ্ডগোল হচ্ছে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হই এবং বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বরিশালে আসি। যার বোডিং পাসের কাগজও আমার কাছে রয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশালে এসে আমাদের জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসের কাছ থেকে জানতে পারি যে দায়ের হওয়া দু’টি মামলার একটির আট নম্বর আসামি আমি।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন, যদি আমি বরিশালেই না থাকি, তাহলে মামলার আসামি কীভাবে হলাম? আর এ দিয়ে প্রমাণিত হয় মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। অর্থাৎ এখানে বরিশালের সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। এছাড়া যতদূর জানতে পেরেছিম মামলায় এমন একজনকে আসামি করা হয়েছে, যিনি মৃত।
তিনি আরো বলেন, আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১/১১ তে প্রধানমন্ত্রীর মিছিলে শামিল হওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত করে আমাকে গ্রেফতার করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, কেউ যদি ঘটনাস্থলে না থেকে আসামি হন, আর তা তদন্তে বেরিয়ে আসে, তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আর মৃত ব্যক্তি আসামি হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, একজনের বিরুদ্ধে মামলা হতেই পারে। তবে মামলার তদন্তে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। সেখানে কেউ দোষী না হলে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
এমএস/এসআই