ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য যুদ্ধাপরাধের শামিল’ 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১
‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য যুদ্ধাপরাধের শামিল’  ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রহমানের তারেক রহমানের ১৪তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের কটূক্তির জবাব দিতে গিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, শুধু জিয়াউর রহমান কেন, যারাই যুদ্ধ করেছেন তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া যুদ্ধাপরাধের শামিল। যুদ্ধাপরাধের ট্রাইব্যুনাল আবারও চলবে, আমরা চালাব। যুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে—এরা তো স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, এরা যুদ্ধে বিশ্বাস করে না। তারা তো আলবদরের চেয়েও ক্ষতিকারক। আলবদর তো মাটির নিচে গেছে। রাজাকাররাও কয়েকদিন পর আর থাকবে না।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ যারা দেখেছেন তাদেরও ৩০ বছর পর খুঁজে পাওয়া যাবে না। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা নিজ কানে শুনেছেন এই লোকগুলো ৩০ বছর পর পৃথিবীতে থাকবেন না। কিন্তু জাতি লালন করবে সত্য ইতিহাসগুলো।

গয়েশ্বর বলেন, ১/১১ এর কথা আমি বলতে চাই না। কারণ ১/১১ এর সঙ্গে যারা জড়িত প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমার দলের, তারাই নেতৃত্ব করেন। সেটা বলে আমি দলে বিভাজন ধরাই কেমনে? আমি এটা চাই না।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যুক্তি বোঝে না, কিচ্ছুই বোঝে না। তারা একটাই বোঝে, তারা মনে করে আলোচনায়, তারা মনে করে ভাষণ দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তারা মনে করে যে, আদালতের রায়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমরা ছোটবেলায় শুনতাম আইয়ুবের শাসন, শেখ মুজিবের ভাষণ, আর এখন শেখ হাসিনার দুঃশাসন—এই তিনটা বিষয়ে তারা এক জায়গায়। আমি বলতে চাই—আদালতের রায়ে দেশ স্বাধীন হয় নাই, ভাষণে দেশ স্বাধীন হয় নাই, আলোচনায় দেশ স্বাধীন হয় নাই—যুদ্ধে দেশ স্বাধীন হয়েছে।

নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা বিলকিছ ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ফরিদা ইয়াসমীন, মহানগর দক্ষিণের ফরিদ উদ্দিন, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মোফাজ্জল হোসেন হৃদয় প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।