ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

সিলেট-৩ আসনের ৯৩ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১
সিলেট-৩ আসনের ৯৩ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ সংগৃহীত ছবি

সিলেট: করোনায় মৃত্যু হওয়া সাবেক সংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর সিলেট-৩ আসনে রাত পোহালেই ভোট নেওয়া শুরু হবে। দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনে ১৪৯ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে।

প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদের উত্তরসূরী কে হচ্ছেন, সেটি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস মেশিনে (ইভিএম) বোতাম টিপে নির্ধারণ করবেন সাড়ে ৩ লাখ ভোটার।

এরই মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র নির্ধারণ করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

নির্বাচনে জেলা ও মহানগর পুলিশের প্রায় দুই সহস্র ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সে সঙ্গে বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি, বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে থাকছে মোবাইল টিম।

সিলেট-৩ আসনের ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে নির্বাচনী নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের ৯৫২ জন ফোর্স এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় মহানগর পুলিশের সহস্রাধিক ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে ৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৪টি সাধারণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ১৯ এবং সাধারণ ১৭টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। বালাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ২৫টি এবং সাধারণ ৯টি কেন্দ্র রয়েছে।

তিনি বলেন, সাধারণ কেন্দ্রে ৬ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ৭ জন করে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। দুই উপজেলায় পুলিশের ২০টি মোবাইল টিম, র‌্যাবের ৮টি টিম চষে বেড়াবে। এছাড়া ফেঞ্চুগঞ্জে ৪ ও বালাগঞ্জে ৩ প্লাটুন বিজিবি থাকবে। ১৪৯টি কেন্দ্রের প্রতিটিতে ৮জন পুরুষ ও ৪ জন নারী আনসার সদস্য কর্তব্য পালনে নিয়োজিত থাকবেন। সে সঙ্গে দুই উপজেলায় ২ জন বিচারিক ও ৫ জন করে মোট ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বাংলানিউজকে বলেন, মহানগর পুলিশের আওতাধীন দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ৪৯ টি ও ৩০টি কেন্দ্র সাধারণ কেন্দ্র নির্ণয় করে নিরাপত্তা ছক সাজানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এরইমধ্যে ৩টি উপজেলা পরিষদ থেকে ১৪৯ কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে রওয়ানা হয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কাজে নিয়োজিতরা।

নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজি এমদাদুল ইসলামকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তথ্য জানতে চেয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর মেলেনি।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর থেকে জানা যায়, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ৩ উপজেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে একটি করে মনিটরিং টিম থাকবে। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২ জন বিচারিক ও ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব নৌকা প্রতীকে, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক লাঙ্গল মার্কায়, বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী  এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
এনইউ/ জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।