নোয়াখালী: জেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান তিন পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী পৌর এলাকায় প্রশাসনের জারি করা (সোমবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের এক পক্ষ।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর কয়েকজন সমর্থক একটি মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, টাউন হল মোড় ও পৌরসভা ভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহলও রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় এমপির ২০-২৫জন কর্মী একটি মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া এমপির সমর্থকরা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে মিছিল করেছে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) দীপক জ্যোতি খিসা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে প্রশাসন।
জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও টাউন হল মোড়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহিন জনসভা করার ঘোষণা দেন। একই সময় পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী পৌরসভা চত্বরে কর্মী সমাবেশের ঘোষণা দেন পৌর মেয়র শহিদ উল্লাহ খান সোহেল। এই পরিস্থিতিতে পৌর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রোববার সন্ধ্যায় ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। যা সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এর আগে রোববার টাউন হল মোড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের তিন পক্ষের নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৯ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
আরএ
