নোয়াখালী: নোয়াখালী শহরের মাইজদীতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় অস্ত্র হাতে তিন যুবকের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাইজদীতে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে তিন যুবককে অস্ত্র হাতে ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়।
এতে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২ সহযোগী বেষ্টিত অস্ত্রধারী এক যুবক প্রতিপক্ষের দিকে গুলি করছেন এবং বাকি দু’জন প্রতিপক্ষদের ধাওয়ার মুখে অস্ত্র হাতে অন্য সহযোগীদের সঙ্গে দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে অস্ত্রধারীদের ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় সচেতন মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারীদের মধ্যে শহরের জামে মসজিদ মোড় এলাকায় পাল্টাপাল্টি হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় একরামুল করিমের অনুসারীরা শহরের জামে মসজিদ মোড়ের উত্তর দিকে অবস্থান নেয়। একই সময়ে শাহীনের অনুসারীরা জামে মসজিদের দক্ষিণ দিকে জিলা স্কুলের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীনের অনুসারীরা দলীয় অন্তঃকোন্দলের জেরে আলাদাভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করে আসছে।
একপর্যায়ে বিবাদমান তিনটি গ্রুপের অনুসারী ও নেতাকর্মীরা তাদের সোমবারের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে সফল করতে রোববার বিকেল থেকেই জেলা শহরে অবস্থান নেয়। এ সময় তিন গ্রুপের অনুসারী নেতাকর্মী জেলা শহরে পথসভা, মিছিল করলে ত্রিমুখী উত্তেজনা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। এরপর সোমবার ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে পুলিশ একরাম অনুসারী ১১ জনকে আটক করে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, অস্ত্রধারীদের একটি ভিডিও তিনি দেখেছেন। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
আরআইএস