নোয়াখালী: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার সহযোগী শহীদ উল্যা রাসেল (৩০) ও তার প্রতিপক্ষ বাদল গ্রুপের ইউপি চেয়ারমান নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরীকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
এরআগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন থেকে শাহীন চেয়ারম্যানকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ এবং উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রাসেলকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
এসময় রাসেলের কাছ থেকে একটি এলজি, একটি পাইপগান ও তিন রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কোম্পনীগঞ্জ থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৫টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২টি, ডাকাতির ৩টিসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার নজরুল ইসলাম শাহীন উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। অপরদিকে, শহীদ উল্যাহ ওরফে কেচ্ছা রাসেল উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়া এলাকার মৃত সফি উল্যার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বে কাদের মির্জার বিপক্ষে অবস্থান নেয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন। দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কাদের মির্জার পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম দুই আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার আসামিদের বুধবার দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
আরএ