ঢাকা: মানববন্ধন করে তালেবানের সমালোচনা করায় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) বিষোদ্গার করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, তালেবান মুক্তিযোদ্ধা।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে একই সময়ে তালেবান ক্ষমতায় নারীরা সুরক্ষিত নয়-এমন অভিযোগে মানববন্ধন করে সিপিবি।
সিবিপির সমালোচনা করে জাফরউল্লাহ বলেন, আমি যখন এখানে এসে পৌঁছাই, তখন একটা দল মূলত কমিউনিস্ট পার্টি তালেবান মেয়েদের অধিকার দিচ্ছে না, তার প্রতিবাদে কথা বলছে। আমি বলব, বন্ধুরা বিএনপির গঠনতন্ত্রে আছে শতকরা ৩৩ ভাগ মহিলা হতে হবে। এমন আওয়ামী লীগেও আছে। আপনারা কমিউনিস্ট পার্টিতে দেন তো?
তিনি বলেন, আপনার নিজের ঘর আগে ঠিক করেন। নিজের ঘর আগুন লাগছে, সেই আগুন আগে নেভান। তালেবানরা যাই হোক না কেন, তালেবানরা মুক্তিযোদ্ধা। তাদের ভুল ভ্রান্তিগুলো সেগুলো ধরিয়ে দেন। তাদেরকে সেইভাবে সাহায্য করেন। অকারণে তাদেরকে বিভ্রান্তির পথে, সাম্রাজ্যবাদীদের দিকে ছুঁড়ে দিবেন না। নিজেদের ঘর ঠিক করেন।
বিচার বিভাগের প্রশংসা ও সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সম্প্রতি একটি খুনের মামলায় দুই বিচারপতি বাংলাতে রায় দিয়েছেন। তাদেরকে অভিনন্দন। একইভাবে যখন পরীমনিকে হয়রানি করা হচ্ছিল, তারা দুই বিচারপতি প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন। আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি এনায়েতুর রহিম। আর সবচেয়ে খারাপ হচ্ছেন এ বি এম খায়রুল হক।
এ বি এম খায়রুল হকের উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, এ বি এম খায়রুল হক এক রায় লিখলেন তিন মাস পর, আবার বদলালেন। আপনারা বিচারপতিরা তাকে সুয়োমটো করে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এনে দাঁড় করান। গণতন্ত্র হত্যার মূল নায়ক এ বি এম খায়রুল হক।
তিনি বলেন, উনি অবসরের পর আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হলেন। প্রধান বিচারপতির সুযোগ-সুবিধা নিলেন। এটা কি দুর্নীতি না?
এনায়েতুর রহিমের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি তো জানেন, খুনের আসামিরও জামিন হয়। আপনি যেখানে বসে আছেন, সেখানে রায় হয়। এক রিকশাওয়ালা তার স্ত্রীকে হত্যা করেছিল, তার নিম্ন আদালতে ফাঁসির রায় হয়। যা সব আদলতেই বহাল থাকে। তবে মৃত্যুদণ্ডের আগ পর্যন্ত সে জামিনে ছিল। এই উদাহরণ তো আপনারই তৈরি করেছিলেন। তাহলে খালেদা জিয়ার কেন জামিন হবে না?
বাংলাদেশ: ১৫০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
ডিএন/জেএইচটি