ঢাকা: বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য দেখে ভিমড়ি খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষ চোখে সরষে ফুল দেখছেন।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন।
তারা বলেন, আটা থেকে পিঁয়াজ, রসুন, গোল আলুসহ মাছ-গোশত-শাকসবজি-ডিমের মূল্য পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব মিলিয়ে বাজারের উত্তাপে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। বাজারে গিয়ে সাধ্যের মধ্যে বাজার করতে না পেরে নানাভাবে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি চাকরিজীবী, নিয়মিত বেতন-বোনাস পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কমচারীরা ছাড়া অন্যদের অবস্থা খুবই করুণ। করোনার অজুহাতে বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে লোকবল ছাঁটাই ও বেতন কমিয়ে দেওয়ায় অনেকে এখন আর কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। নুন আনতে পানতা ফুরায় যাদের- এমন ৩৫ শতাংশ মানুষ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কুফল ভোগ করছেন।
নেতারা বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় টিসিবি তেল-চিনিসহ ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কয়েকটি পণ্য বিক্রি করবে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহকৃত পণ্য অপ্রতুল। যে কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বরং এসব পণ্যও কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ আছে। আবার খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক ক্রেতাকে। টিসিবির পণ্য কিনতে আসা মানুষের সংখ্যা গাণিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধ্যআয়ের অনেক মানুষকেও লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে।
নেতারা আরও বলেন, দেশবাসী মনে করছেন, সংসদে ব্যবসায়ীদের আধিক্য আর বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় দু’জন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর কব্জায় থাকায় ক্রেতাসাধারণের দুর্ভোগ কমছে না। সেবার বদলে ব্যবসা প্রাধান্য পাওয়ায় নিত্যপণ্য বাবার ঊর্ধ্বমুখী বলে সচেতন জনগোষ্ঠীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। দিন যত যাচ্ছে, এসব অভিযোগ ও পণ্যমূল্য ততই লাগামহীন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তারা বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং, তদারকি ও সুষ্ঠু নজরদারির অভাবে বাজার অস্থিতিশীল। দায়িত্বশীলরা কালোবাজারি ও অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজি রুখে দিতে পারলে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল থাকতো বলে মনে করেন জনগণ। নিত্যপণ্যের বাজার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে অবিলম্বে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার ও অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
এমএইচ/এমআরএ