ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, জীবনের সব ক্ষেত্রে রাসূল (সা.) এর আদর্শের অনুসরণ-অনুকরণ করতে হবে।
আইয়ামে জাহেলিয়াতের ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত আরব জাতি রাসূল (সা.) এর আদর্শের ছোঁয়ায় নবুওয়াতের মাত্র ২৩ বছরেই বিনির্মাণ করেছিল এক নতুন পৃথিবী।
শুক্রবার (৫নভেম্বর) রাজধানীর গুলিস্থানে কাজী বশির মিলনায়তনে জাতীয় সীরাত সম্মেলন, পুরস্কার বিতরণ, বিশ্বজয়ী হাফেজ-ক্বারীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জাতীয় সীরাত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের শরিয়াহ বিষয়ক উপদেষ্টা মুফতী ওমর ফারুক সন্দ্বীপি।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সীরাত সম্মেলনে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক ইনকিলাবের সহ-সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, দৈনিক নয়াদিগন্তের সহ-সম্পাদক মাওলানা লিয়াকত আলী, সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, লেখক ও গবেষক মাওলানা যাইনুল আবিদীন, বারিধারা কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মাওলানা সাইয়্যেদ জুলফিকার জহুর, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, ছাত্রনেতা নূরুল করীম আকরাম। সম্মেলন পরিচালনা করেন জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম ও মাওলানা জিয়াউল আশরাফ।
জাতীয় সীরাত সম্মেলন তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্ব সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক আলোচনা। দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য, বিশ্বজয়ী হাফেজদের সম্মাননা প্রদান এবং পুরস্কার বিতরণ। তৃতীয় পর্বে মনোজ্ঞ ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সীরাত সম্মেলনে ৬ দফা প্রস্তবনা পেশ করেন শেখ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে রয়েছে- ১. বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত হযরত মুহাম্মাদ (সা.) শেষ নবী এবং সর্বোচ্চ সম্মানীয় ব্যক্তি। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় তা সংযুক্ত করতে হবে।
২. আল্লাহ তা’য়ালা, রাসূল (সা.) ও ইসলামের অবমাননা রোধে সু-নির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৩. খতমে নবুওয়াত অস্বীকারকারী কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। তবে সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাসের সুযোগ থাকবে।
৪.জাতীয় জীবনের সর্বত্র সীরাতুন্নবী (সা.) অনুসরণের লক্ষ্যে জাতীয় সীরাত একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৫. জাতীয় শিক্ষাক্রমের সর্বত্র সীরাত পাঠ বাধ্যতামূলক করা। বিশেষত অনার্স পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ে চার ক্রেডিট সীরাতের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে।
৬. সীরাত সম্মেলন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি খতমে নবুওয়াত অস্বীকারকারী কাদিয়ানীদের যাবতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২১
এমএইচ/এমএমজেড