ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা কি মানবিকতা দেখিয়েছেন, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২১
খালেদা কি মানবিকতা দেখিয়েছেন, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামিকে মানবিকতা দেখিয়েছেন কিনা, প্রশ্ন তুলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

মানবিকতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আইনমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার প্রতি যে মানবিকতা প্রদর্শন করা হয়েছে সেটির জন্য বিএনপি সরকারকে ধন্যবাদ জানায়নি। বরং প্রতিনিয়ত বিষোদগার করছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জন্মতারিখ বদলে ১৫ আগস্ট কেক কাটেন। ক্ষমতায় থাকাকালে নিজের পুত্রের নেতৃত্বে গ্রেনেড হামলা করেছিলেন। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী যে মানবিকতা দেখিয়েছেন সেটি অতুলনীয়। সেটির প্রশংসা তারা করছে না। খালেদা জিয়া দুই দফা ক্ষমতায় থাকার সময় কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ওপর এ ধরনের মানবিকতা দেখিয়েছেন কিনা, সেই উদাহরণটা দেখাক। সেটি তারা বলতে পারছেন না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই খালেদা জিয়া সুস্থ হোক, আল্লাহর কাছেও প্রার্থনা করি এবং আশা করছি, তিনি খুব সহসা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন। বিএনপির দাবি রাজনৈতিক। কোনো ইস্যু তৈরি করতে না পেরে মাঠ গরম করার জন্য তারা নানাভাবে কথা বলছে। তারা তো জনগণের জন্য রাজনীতি করে না। তাদের রাজনীতি পুরোটাই আবর্তিত হচ্ছে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আর তারেক রহমানের শাস্তি নিয়ে। এ দুটি নিয়েই তাদের রাজনীতি আবর্তিত। এর বাইরে তারা যেতে পারছে না, এটি তাদের জন্য দুঃখজনক।

লন্ডনের বাইরে অন্য কোনো দেশে যেতে চাইলে সুযোগ দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ওরা তো শুধু লন্ডনে পাঠাতে চায়, যেখানে তারেক রহমান আছে। ডাক্তার বাবুও প্রেস কনফারেন্সে তাই বলেছেন। পাশাপাশি আরও দুটি দেশের নাম বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি, সেখানে গেলেও রাজনীতি করতে সুবিধা হবে। কারণ সেখান থেকেও তো দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। তারা যেভাবে দাবি-দাওয়া করছেন সেটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আইনমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাকে আসলে বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনি সুযোগ নেই। আইনে কোনো ফাঁকফোকর আছে কিনা সেটি আইনমন্ত্রী ভালো বলতে পারবেন। মানবিকতা দেখিয়ে কি কোনো ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মাফ করে দেওয়া যায়? সেটি যদি দেওয়া না যায়, আইনে বিদেশ পাঠানোর সুযোগ না থাকে, সেখানে তাকে কীভাবে পাঠানো যাবে, সেটি হচ্ছে আমার প্রশ্ন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।