ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে: হানিফ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২১
খালেদার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে: হানিফ

লক্ষ্মীপুর: খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতারা রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তার চিকিৎসাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন এটা যেমন সত্য, পাশাপাশি এটাও সত্য উনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। একজন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি কারা বিধান অনুযায়ী যে রকম চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ার, উনি সবটুকু পেয়েছেন। কারাবিধির বাহিরেও শেখ হাসিনার মানবতায় বাড়তি সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে দামি হাসপাতালের মাধ্যমে বাসায় রেখে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতায় এবং দয়ায়। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে- এরকম কথা কিন্তু দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আজ পর্যন্ত বলেনি ‘তাকে এখানে আর ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। ’

কিন্তু বিএনপি নেতারা বার বার দাবি করছে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠিয়ে দিতে হবে। আমরা বলেছিলাম বিদেশে কোথায় পাঠাতে হবে। কোন চিকিৎসক তাকে পরামর্শ দিয়েছে। কোন দেশে কোন ডাক্তারের কাছে দেখাতে যাবেন। সুনির্দিষ্টভাবে আবেদন করেন। ওনারা সেটা বলে না। আসলে তাদের লক্ষ্য খালেদা জিয়ার সুস্থতা নয়, তার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করার।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া যেহেতু দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী, সে কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির দণ্ড স্থগিত করে বিদেশে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের দেশের আইন কেন, পৃথিবীর কোন আইন এটা পারমিট করে না। কারণ একজন ব্যক্তি যখন দেশের বাহিরে চলে যান তখন এ দেশের আইন আর কার্যকর করা সম্ভব নয়। এ জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদিদের বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, একমাত্র রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক সুযোগ আছে দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির দণ্ড মওকুফ করার। ওনারা (বিএনপি) যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান তাহলে রাষ্ট্রপতি এ ক্ষমার আবেদনটি বিবেচনা করলে বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে দেশের বাহিরে যেতে পারবেন। কিন্তু বিএনপি আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে কোনো আবেদন করেনি। প্রতিদিন তারা প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ধোয়া তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করে সরকারের বিরুদ্ধে উষ্কে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চক্রান্তে লিপ্ত আছে।

সদ্য পদত্যাগকৃত প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।  

ইউপি নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের যারা নেতাকর্মীরা আছেন, তারা প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা আছে। দলীয় সিদ্ধান্ত সকলে মেনে চলবে। যারা সিদ্ধান্ত মানেন না, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে কেউ যদি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দলের শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন্নার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ার হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।