কুমিল্লা: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনী সহিংসতায় আহত হওয়া এক ছাত্রলীগ নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা শাকিল হোসেন (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত শাকিল পেড়িয়া ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে এবং স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান এমএ হামিদের পথসভা চলাকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদারের সমর্থকরা সেখানে হামলা চালায়। হামলায় বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ হামিদের ১৫ সমর্থক আহত হন। এদের মধ্যে শাকিলকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের মধ্যে শাকিল, ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া গ্রামের প্রবাসী মোহাম্মদ ফরিদ ও ফরহাদ হোসেনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত শাকিল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, শাকিল ঢাকায় ফুলকলি নামে একটি বেকারিতে কাজ করতেন। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হামিদ বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদারের লোকজন হামলা করে আমার ১৫ সমর্থককে আহত করে। এদের মধ্যে শাকিল হোসেন ঢাকা মেডিক্যালে মারা যায়। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করছি।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদার বলেন, শুনেছি বুধবার ঝামেলা হইছে। ওই ঝামেলায় বৃহস্পতিবার রাতে একটা ছেলে মারা গেছে। তবে হামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার লোকজন হামলা করেনি।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শাকিল নামে এক যুবক মারা গেছে বলে শুনেছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২১
এনটি