ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বাংলাদেশ-ভারতের বহুমুখী সম্পর্কে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
‘বাংলাদেশ-ভারতের বহুমুখী সম্পর্কে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না’

ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের বহুমুখী সম্পর্কে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতে সফররত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বহুমুখী।

ভৌগোলিকভাবে আমাদের দেশের সঙ্গে ভারতের সংগতি ও সাংস্কৃতিক গভীরভাবে জড়িত। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের পাশে যেভাবে ছিল আগামী দিনগুলোতে আমাদের বন্ধুসুলভ সম্পর্ক বজায় থাকবে। কেউ এ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারবে না।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের সিমলায় ৫০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সংলাপের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর, ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং, গভর্নিং কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য রাম মাধব।

কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে নানক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে আমাদের হাঁটতে হবে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বিদ্বেষ নয়’- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি। ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ, সার্বভৌম ও স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র তার পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করছে, এ মূলের ওপর ভিত্তি করে তার জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাণী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নীতির দ্বারা পরিচালিত, বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে, যাতে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব জনগণের কল্যাণে অগ্রসর হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার সম্পদ ও শক্তি উৎসর্গ করতে পারে।

নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি দুদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উভয় দেশের জন্য এবং অঞ্চলের জন্য। এর ভূ-কৌশলগত প্রভাব সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু খুব ভালোভাবে অবগত ছিলেন। বাংলাদেশ-ভারতের বিস্তীর্ণ চূড়ায় অবস্থিত ল্যান্ডস্কেপ এবং বিশেষ করে বাংলা ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চল। এর উপকূল রেখা বঙ্গোপসাগর ফানেলের সীমান্তে অবস্থিত। এটি অশান্ত মিয়ানমার অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত স্পর্শ করে। এর ভূ-স্থানিক ত্রিভুজ এটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে সর্বদা বিশ্বের সব বড় শক্তি। ভারতের প্রবণতা বাংলাদেশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক করিডোর পুনঃসংযোগে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্রনীতিকে যথাযথভাবে তৈরি করেছে যেখানে উভয়ই দেশের পারস্পরিক সুবিধাজনক নীতি থেকে একে অপরের থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে লাভ করতে পারে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অসীম কুমার উকিল এমপি, মির্জা আজম এমপি, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।