ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী বিডিআর বিদ্রোহ দমনে সেনাবাহিনী পাঠাননি: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
প্রধানমন্ত্রী বিডিআর বিদ্রোহ দমনে সেনাবাহিনী পাঠাননি: ফখরুল ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ দমনের জন্য সেনাবাহিনীকে পাঠানো হয়নি রাজনৈতিক নির্দেশে। এটা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছিল যে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ দমনের জন্য পাঠাবেন, তা তিনি করেননি।

তার পরিবর্তে তারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেছেন। যার ফলে আজকে এই দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

শনিবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার একট গভীর চক্রান্ত হয়েছে। আমাদের চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার মধ্যে দিয়ে বীর সেনাবাহিনীর মনোনবল ভেঙে দেওয়ার সুদূর প্রসারী গভীর চক্রান্ত হয়েছে। আমরা পরিষ্কার করে জানি যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যারা কর্মরত আছেন বা ছিলেন বিশেষ করে বিডিআর-এ যারা কর্মকর্তা এবং সৈনিকেরা ছিলেন তারা তাদের বীরত্বের জন্য সর্বমহলে অত্যন্ত প্রশংসিত ছিলেন। অতীতে আমরা দেখেছি তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করেছেন। এমনকি ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে প্রথম যে যোদ্ধারা সামনে এগিয়ে আসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাদের বেশিরভাগই ছিলেন বিডিআর সদস্য। সেই শক্তিকে দুর্বল ও মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য তারা যেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে। সীমান্ত রক্ষা, দেশমাত্রিকাকে রক্ষা করার জন্যে সাহসী ভূমিকা নিতে না পারে তারই অংশ ছিল এই চক্রান্ত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমাদের সীমান্তে হত্যা হয়, আমরা সেভাবে জবাব দিতে পারি না। আমাদের জনগণের ওপরে অন্যায় অত্যাচার হয় সেখানে তারা ভূমিকা পালন করতে পারে না।

তিনি বলেন, সেই ঘটনার পরে কতগুলো মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে। একটি হলো-বিডিআর এর নামটাই পরিবর্তন করা হয়েছে। বিডিআর ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। ব্রিটিশ আমল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছে। পাকিস্তান আমলে করেছে। সেই প্রতিষ্ঠানের নাম, পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছে। তাদের যে কোড অব কন্ডাক্ট সেটাও পরিবর্তন করা হয়েছে। বিডিআরের এই হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে একটা অদৃশ্য শক্তি তারা বাংলাদেশকে দুর্বল নতজানু করে রাখার জন্যে বিভিন্ন রকমের কলাকৌশলে বাংলাদেশের ওপরে চেপে বসেছে।  

তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছিল তার ছোট একটু আংশ প্রকাশ করা হয়েছিল, মূল অংশটিই প্রকাশ করা হয়নি। যেটা বেসরকারিভাবে করা হয়েছিল সেটাও প্রকাশ করা হয়নি। কেন আমরা ১৩বছর ধরে সঠিক বিষয়টা জানতে পারছি না?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান ও মেজর (অব.) সারোয়ার হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২
এমএইচ/এসআইএস 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।