ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সরকার ইভিএমে ভোট লুটের চক্রান্ত করছে: নজরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
সরকার ইভিএমে ভোট লুটের চক্রান্ত করছে: নজরুল ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকার আগামীতে ইভিএমে ভোট লুট করার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন।

বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে সারা দেশে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। কেরানীগঞ্জ, ধামরাই, সাভার, নবাবাগঞ্জ ও দোহার থানা থেকে নেতাকর্মীরা হাত পাখা ও হারিকেন হাতে নিয়ে সমাবেশে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন।

সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় থেকে ভোট চুরি করেছে, ডাকাতি করেছে। এবার তারা ইভিএমের নামে লুট করতে চায়। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই— কিছুতেই দেওয়া হবে না, কোনো মতেই নয়। দেশটা আমরা লিজ দেই নাই কাউকে। দেশ আমাদের, দেশকে আমরা বাঁচাব ইনশাল্লাহ।

বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন নয় উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হলে স্থায়ী একটা ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেই কারণে দরকার জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার। আর সেরকম কখনো এ দেশে কায়েম হবে না যদি এই সরকার ক্ষমতায় থাকে। শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে আমরা বাকশালের একদলীয় শাসন থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। এবার তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবার আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব ইনশাল্লাহ। সেই লড়াইয়ে আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন এবং সাহসিকতায় এগিয়ে যাবেন— এই আহ্বান আমি জানাচ্ছি।

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, আজকে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। বিদ্যুৎ নেই। ঢাকায় যারা আছেন কিছুটা ভালো আছেন। কিন্তু গ্রামের মানুষ আরও কষ্টে আছে। সারা দিনে গ্রামে ৪/৫ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। এই গরমের দিনে কি কষ্টে আছে মানুষ বুঝুন। কৃষকরা যারা পাম্প দিয়ে ক্ষেতে চাষ করে তাদের পাম্প চলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতে যদি পানি না দিতে পারে তাহলে ফসল উৎপাদন হবে না। কদিন পরে যখন ফসল একটু বড় হবে তখন সারও লাগবে। এই সরকার বিদ্যুতের অভাব দেখিয়ে, জ্বালানি তেলের অভাব দেখিয়ে সার কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষ সার কোথায় পাবে? কীভাবে দেশের কৃষির উন্নয়ন হবে, আমার কোটি কোটি কৃষক বাঁচবে কীভাবে? আমাদের পুরোপুরিভাবে পরনির্ভরশীল করার চেষ্টা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের পক্ষের দল। জনগণের যে আজকে কষ্ট, আজকে তাদের যে দুর্গতি, তাদের যে সংকট এই সংকটে তাদের পাশে থেকে তাদের সাথে নিয়ে মোকাবিলার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুরোধ— এই দেশটাকে যদি বসবাসের যোগ্য করতে চান, যদি দুর্নীতি-অনাচার মুক্ত করতে চান, যদি স্থায়ী সমৃদ্ধি অর্জন করতে চান তাহলে এই ফাঁকা বেলুনের মতো উন্নয়ন নয়, স্থায়ী উন্নয়ন-টেকসই উন্নয়ন। তাহলে এই  গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকারের পতন ঘটাতে হবে, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, জেলার কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টার, কফিল উদ্দিনসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।