ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

জীবন দেব, বেঁচে থাকলে দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো: আমির খসরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
জীবন দেব, বেঁচে থাকলে দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো: আমির খসরু

ঢাকা: রাস্তায় নেমে গেছি ফয়সালা হবে রাজপথে, আমরা কেউ ফিরে যাব না। যেদিন শেখ হাসিনার পতন হবে সেদিন বাড়ি ফিরে যাব।

এই যে রাস্তায় নেমেছি হয়তো জীবন দিয়ে যাব, নয়তো বেঁচে থাকলে দেশকে মুক্ত করে ছাড়বো। আমাদের পরিবারদেরকে বলেছি আমাদের জীবনের চিন্তা করবা না।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধোলাইখালে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কথাগুলো বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, তাদের (আওয়ামী লীগ) হাতে এখন মাত্র একটি অপশন। সেই অপশনটা হচ্ছে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখল করা। আমাদের মধ্যে কোনো ভয়-ভীতি নেই, আমরা ভয়-ভীতি পার হয়ে চলে এসেছি। রাস্তায় নেমে গেছি ফয়সালা হবে রাজপথে, আমরা কেউ ফিরে যাব না। কেউ জীবিত যাব না, মৃত্যু যে হচ্ছে আব্দুর রহিম, আলম ও শাওন তারা মৃত্যুবরণ করেনি তারা আমাদের সাথে আছে আমাদের হৃদয়ে রয়েছে আমাদের আন্দোলনে রয়েছে।

বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ জেগেছে; বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দখলদার স্বৈরাচার, অবৈধ অনির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার শপথ নিয়েছে জনগণ। গুলি আসুক, লাঠি আসুক- কেউ পেছনে ফিরে যাব না। সামনের দিকে এগিয়ে যাব- এটি হচ্ছে আজকের শপথ।

তিনি আরও বলেন, আজকে যারা জনগণের বিপক্ষ নেওয়ার চেষ্টা করছেন সেটা আওয়ামী বাহিনীর হোক বা পুলিশ বাহিনী হোক এখান থেকে বেরিয়ে আসার আপনাদের কোনো সুযোগ নেই। দেশের মানুষ সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। যারা বাংলাদেশে আওয়ামী পুলিশ বাহিনীর ভূমিকায় পালন করছেন তাদেরকে পরিষ্কার দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা দেওয়ার; দেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করার, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়ার। বাংলাদেশের আত্মাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে; সেই বাংলাদেশকে ফেরত আনতে হবে।

বাংলাদেশকে নিয়ে বিদেশিদের চিন্তা করার দরকার নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিদের চিন্তা পরিষ্কার। এটা একটি চরম দুর্নীতি হয়ে গেছে, এদেশে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই, এদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা বলে কিছু নেই, এদেশে আইনের শাসন নেই, দেশের বাক-স্বাধীনতা নেই, এ দেশের জনগণের নিরাপত্তা নেই। এ বিষয়গুলো সারা বিশ্বে পশ্চিমাদের মতো দেশগুলোয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। সে কারণে পুলিশ প্রধানের উপর নিষেধাজ্ঞা হয়েছে, সে কারণে র‍্যাব প্রধানের উপর নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। পুলিশের আক্রমণের প্রতিবাদ করে গতকালও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বক্তব্য দিয়েছে।

রাজধানীর ধোলাইখাল কাজী কমিউনিটির সামনে বিএনপি মহানগর দক্ষিণের জোন-৬ ধুতরাপুর, গেণ্ডারিয়া, ওয়ারি, কোতোয়ালি ও বংশাল থানার উদ্যোগে জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়। দক্ষিণের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়।

ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, নাজিমুদ্দিন আলম, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
এমএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।