ঢাকা, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নেব: মুরাদ

মহসিন হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নেব: মুরাদ

ঢাকা: ঢাকা জেলা বিএনপির সম্মেলন হবে রোববার (৩০ অক্টোবর)। এই সম্মেলন ঘিরে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে কে হবেন পরবর্তী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

ঢাকা জেলা যুবদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ সাধারণ সম্পাদক পদের একজন প্রার্থী হিসেবে বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ ৩৬ বছর দলের সঙ্গে আছি। ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে দায়িত্বে ছিলাম। বর্তমানে যুবদলের ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটা মেনে নেব।

তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের মধ্যে মতভেদ থাকতে পারে। তবে দলীয় স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সব সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেন। দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে তিনি সফল হয়েছেন। সকলকে এক ছাতার নিচে আনতে পেরেছেন। তার প্রতিফলন চলামন আন্দোলনে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি আগের চেয়ে অনেক ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা আমাদের নেতার নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ থেকে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ঘণ্টা বাজাতে চাই। সেজন্য নেতা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেভাবে কাজ করবো।

ইয়াসিন ফেরদৌস বলেন, ঢাকা জেলা বিএনপিতে যারা নেতৃত্বে আসতে চান তাদের চেয়ে দলের জন্য অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছি। ১৯৯৪সালে কলেজ জীবনের শুরু থেকে রাজনীতিতে এসেছি। কলেজের সভাপতি, ধামরাই থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসভাপতি ছিলাম। ২০১৮ সালে ঢাকা জেলা যুবদলের দায়িত্ব পাই। এখনও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

কাউন্সিলের বিষয়ে ইয়াসিন ফেরদৌস বলেন, ঢাকা জেলার যেসব থানায় কমিটি হয়েছে সেগুলো সঠিকভাবে হয়নি। তৃণমূলের কাউন্সিলরদের ইচ্ছা ছিল সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। সেটা না হওয়ায় অনেকে ক্ষুদ্ধ। অধিকাংশ থানায় পকেট কমিটি হয়েছে। এখন জেলা কমিটিও একটা অংশ পকেট কমিটি করতে চাচ্ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। আমি তাদের দাবির সঙ্গে একমত। তবে দলের হাই কমান্ড যে সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই মেনে নেব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ঢাকা জেলা বিএনপির সর্বশেষ আংশিক ৫৬ জনের কমিটি হয়। পরে ২০১৮ সালে ২৬৬ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়। ওই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। যিনি এখনও ওই পদে আছেন। একইসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন খন্দকার আবু আশফাক।

এবারের সম্মেলনে মোট ১০টি ইউনিটে এক হাজার ১০ জন কাউন্সিলর তাদের মতামত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
এমএইচ/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।