
ঘর এখন জল্লাদখানা
ঘর এখন জল্লাদখানা। ভাঙছে প্রচুর কাচের গ্লাস। মন হয়েছে মতিচুরের লাড্ডু। লাড্ডুতে পিঁপড়া লেগেছে খুব। ভালোবাসার বিষ মাখানো হচ্ছে লাড্ডুর গায়ে... উন্মাদ বাজারে আসেন দেখে যান একটু...
১. এই লোকটা প্রেমিক, তার প্রেমিকাকে বিক্রি করতে এসে দাম পাচ্ছেন না খুব একটা। ক্রেতারা নেড়ে চেড়ে দেখছেন আর বলছেন, মাল দুই নাম্বার।
২. এই মেয়েটা প্রেমিকা, তার প্রেমিকের মাথায় পেরেক গেঁথে হো-হো করছে। আর বলছে— আরো খেলা আছে, আগে ট্যাবলেট কিনেন তার পর...
৩. এই লোকটা একজন স্বামী। তার স্ত্রী আরেকজনের প্রেমিকা। লোকটা তার অন্য প্রেমিকার জন্য বাজারে অপেক্ষা করছে। ওই প্রেমিকা আবার তার অন্য প্রেমিককে মিথ্যা বলে আসার জন্য তাড়াতাড়ি করছে।
৪. ছুরি কিনছেন যিনি, এই লোকটা একজন বাবা। খুব ভালো করে দেখে শুনে তিনি ছুরিটা কিনছেন। এই ছুরিটা তিনি তার সন্তানকে গিফট করবেন। কারণ তাকে হত্যা করতে তার সন্তান যেন যেনতেন ছুরি ব্যাবহার না করে।
৫. এই ছেলেটাকে লক্ষ্য করেন, ভনভন করে ঘুরছে আর কাঁদছে। ও আসলে কাউকে কিছু বোঝাতে পারছে না। সে তার মা’র জন্য একটা প্রেমিক খুঁজে বেড়াচ্ছে। বেশ কিছু দিন থেকে ওর মা’র ভালো লাগছে না তার বাবাকে।
৬. এই ছেলেটাকে দেখেন পিস্তলকে চুমু খাচ্ছে। এই ছেলেটা কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে খুঁজে পাবে। এরপর আরেকবার সে পিস্তলকে চুমু খাবে।
মন একটা টর্চার সেল
মন একটা টর্চার সেল। এখানে কে যে কাকে মারছে তা কোনো বুলেটের শব্দ থেকে বোঝার উপায় নেই। এমন কসাইখানায় কেবল গলা আছে, ছুরি আছে। আহা বলুন না পিছলে পড়া সময়ের কথা। গতকাল-আজ-একটু আগে-একটু পর, কিংবা এক্ষুণি, আপনার মনের টর্চার সেলে কার কার চিৎকার শোনা যায়...
১. একটি সফল খুনের পর কপাল কতখানি চওড়া হতে পারে? নিম কাঠের তক্তার সমান। গুড, উত্তর সঠিক হয়েছে। আপনি সোজা চলে যান। এরপর প্যাকেট দুধ পান করুন। আর শুনুন আপনার চেহারাটা এখানেই রেখে যেতে হবে। এটায় এখানকার নিয়ম।
২. আপনার পরিচয়? আমি রবীন্দ্র রচনাবলি থেকে পালিয়ে এসেছি। আমার নাম সুরবালা। ওখানে থাকতে একদম ভালোলাগে না। বাইরে কত বাঁকা হাওয়া, ডিজে পার্টি, বার্গার চুমুর বিকেল। এই কে কোথায় আছিস, এটারে রবিটবির রচনার ভেতর রেখে আয়। উফ!! কোথা থেকে যে এগুলা আসে। নেক্সট...
৩. আপনার মুখ দেখে মনে হচ্ছে পারবেন। এর আগে কি একটা দুটা... বলেন দেখি ফুল কেন বৃষ্টি হলো না। কার সাথে বেশি রক্তের সম্পর্ক? ব্লেডের সাথে রক্তের সম্পর্ক বেশি । ভেরি গুড। আপনার সোজা বলে কিছু নেই। মাথাটা হাতে রাখুন। এ অঞ্চলে সবাই খালি মাথা ধার করে।
৪. সামনে তাকান? কিছু দেখতে পাচ্ছেন? আরে ওটা মাওয়া ঘাট। নদী বানান করেন আগে। ধুর! এটা কোনো বানান হলো? আপনি মগজের ভেতর টেংরা মাছ ছেড়ে দিলেন। আচ্ছা ঠিক আছে, কষ্ট বানান করতে পারলেই হবে। বাহ! কষ্ট বানান করতে গিয়ে মার্কেটে বানালেন মন্দির। মন্দ না। যান টিকিট লাগবে না।
৫. এই আসো আসো, কি পুতপুত চেহারা তোমার। এই যে বাবুটা কী নাম তোমার। কী চকলেট খাও রোজ রোজ? তোমার নিম্নাঙ্গ-উচ্চাঙ্গ টিপেটুপে দেখে বুঝতে পারছি তুমি হারপিক প্রেমিক। এই কে আছিস, এই সালারে ডাল্টন সৌভাত হীরার কাছে পাঠিয়ে দে...
ওই মানুষের বাচ্চা মানুষ!
‘এবারের শীতে আমি বাঘের কাছে যাবো।
বাঘের হাতে পায়ে ধরে বলবো—
সূর্যের সাথে তোমার বিরোধ মিটাও।’
মানুষ তোরে ঘৃণা করি। কে বলেছে তুই সৃষ্টির সেরা? কোনো গরু? কোনো বাঘ? কোনো গাছ?
তাইলে যে নিজে নিজে মাস্তানি। তোর সভা লাগে হরিণের লাগে না। তোর জ্ঞানকে কোনো কুকুর
তোয়াক্কা করে? তুই নিজে নিজে আহম্মক শালার আহম্মক! তোর যে এত জ্ঞান, তো এটা বুঝলি
না কেন, শুয়োরের বিদ্যুৎ লাগে না।
ওই মানুষের বাচ্চা মানুষ! তোর বিদ্যুৎ লাগবে, কন্ডম লাগবে তো বাঘের বাপের কি?
এম সিক্সটিন
আমার মুখ থেকে উড়ে যাওয়া অসংখ্য চুমু
তোমার মুখে বসুক। চুমুগুলোকে দানা দিও, পানি দিও...
ও সিরিয়ান বালিকা আমি ক্ষেপাটে এম সিক্সটিন।
অসংখ্য চুমু মুখে নিয়ে তোমাকে টিজ করছি।
তোমার লাবণ্যের ভেতর যে অন্ধকার গোলাপ হতে চেয়েছিল।
তার জন্য আমি আসছি। তুমি রক্তস্রাবের স্মৃতি ভুলে গেলেই
তোমারে তুলে নিয়ে যাবো আমেরিকা।
মুখের প্রেসক্রিপশন
তোমার মুখ ছিল তরুণ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন
যার অক্ষরগুলো কোনোদিন বুঝতে পারিনি।
আর সেই থেকে যেই রোগ সেই রয়ে গেছে...
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, ১৩ অক্টোবর ২০১৩
টিকে/বিএসকে