
ড. হুমায়ুন আজাদ
ঢাকা: প্রথাবিরোধী লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলা আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন, মামলার রেকর্ডিং অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম ও জব্দ তালিকার সাক্ষী আব্দুর কাদের ভুইয়া।
বৃহস্পতিবার (৭মে) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমীন সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ১৯ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
মামলাটির ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
কারাগারে আটক মামলার ২ আসামি জেএমবির শুরা সদস্য আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ ও হাফিজ মাহমুদকে বৃহস্পতিবার কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর দুই আসামি মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিনকে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। তাদের অনুপস্থিতিতেই মামলার কার্যক্রম চলছে।
অপর আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু শুরু থেকেই পলাতক আছেন।
এর আগে হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির, আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাকালীন এলএলবি অনার্সের ছাত্র অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুর রহমান আশিক, ড. হুমায়ুন আজাদের স্ত্রী লতিফা, কবি মোহন রায়হান ও কবি সাংবাদিক নাসির আহমেদ মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ।
এ সময় তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাথায়, মুখে ও ঘাড়ের উপর মারাত্মক জখম করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডি’র পরিদর্শক লুৎফর রহমান উক্ত ৫ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের ৮ বছর তিন মাস পর ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার তদন্তের বেড়াজাল ছিঁড়ে বিচার শুরু হবার পথ সুগম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৫
এমআই/আরআই