৭২ জন পাচ্ছেন বিএসএমএমইউ’র কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৭২ জনকে কম মূল্যে দেয়া হচ্ছে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা।

শনিবার(৩০ মে’২০১৫) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে ২ দিনব্যাপী ৩য় কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রোগ্রাম ইন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (২য় পর্যায়ে)-এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আবু সফি আহমেদ আমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রোগ্রাম ইন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (২য় পর্যায়ে)’র কর্মসূচি পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব  মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নাক কান ও গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবুল হাসনাত জোয়ারদার।

তারিক-উল-ইসলাম তার বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসাসেবা কর্মে সব রকমের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান বলেন, চাহিদার তুলনায় এখন পর্যন্ত অত্যন্ত কমসংখ্যক শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। তাই এ সেবা আরও সম্প্রসারণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চাই।

অভিভাবকরা বলেন, অত্যন্ত ব্যয়বহুল এ চিকিৎসাসেবা কোনোদিনই আমাদের পক্ষে সন্তানদের জন্য করা সম্ভব হতো না। আর আমরা নিজ সন্তানের মুখে কোনদিনই মা-বাবা ডাকও শুনতে পেতাম না। কক্লিয়ার ইমপ্লান্টের কারণে প্রথম যেদিন নিজ সন্তানের মুখে মা-বাবা ডাক শুনতে পেয়েছি সে আনন্দ ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।

দেশে বিরল ও ব্যয়বহুল এই চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে বা নামমাত্রমূল্যে প্রদানের জন্যে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দেন তারা।   
কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট হলো সার্জারির মাধ্যমে বধির ও কানে একবারেই কম শোনা রোগীর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শ্রবণযন্ত্র স্থাপন করে শোনার ব্যবস্থা করা। এটা একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা।

বিদেশে এ চিকিৎসা করাতে একজন রোগীর অর্ধকোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়। ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রোগ্রাম ইন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব  মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (২য় পর্যায়)-এ মোট ৭২ জনকে নামমাত্র মূল্যে এ চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। প্রথম বছর ৩৬ জন রোগীকে এ চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। রোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে শিশুদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। আগামী ২০১৬ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।

এর আগে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৫৪ জনকে এ সেবা দেয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪৮ জন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ১০ থেকে ১৬ লাখ টাকার চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে পেয়েছে। ৬ জনকে নামমাত্র মূল্যে শ্রবণযন্ত্রের ডিভাইস স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া আরো ১২ জন রোগী নিজ খরচে ডিভাইস ক্রয় করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে তাঁদেরকেও এ চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময় ১৯৫১ ঘণ্টা; মে ৩০, ২০১৫
এমএন/এনএস


সম্পাদক : জুয়েল মাজহার

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2024 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান