বেড়াতে আসুন গারো পাহাড়ে

আব্দুর রফিক মজিদ, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ১৯:০৪, আগস্ট ৩০, ২০১১

নগর জীবনের ঝঞ্জাট আর ক্লান্তি দূর করতে ঈদের ছুটিতে বেড়িয়ে আসতে পরেন শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায়। এখানে রয়েছে শাল-গজারি বাগান আর বাগানের ফাঁকে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে দেখতে পাবেন মেঘ-রোদ্দুরের খেলা আর আদিবাসী গারো-কোচ-হাজংসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আদিবাসীদের জীবন-জীবিকা।

শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় ইতিমধ্যে স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগের উদ্যোগে  মনোমুগ্ধকর ‘অবকাশ’ ও ‘মধুটিলা ইকোপার্ক’ নামে দুটি পর্যটন বা পিকনিক স্পট গড়ে উঠেছে। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা শেরপুর জেলার প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গারো পাহাড়। এই গারো পাহাড়ে দেশের পার্বত্য এলাকার মতো সুউচ্চ পাহাড় বা লেক না থাকলেও এখানকার শাল-গজারি, সেগুন-মেহগিনি, মিনঝিরিসহ নানা প্রজাতির গাছগালিঘেরা উচু-নিচু টিলা আর পাহাড়ি টিলা বেয়ে সমতলের দিকে ছুটে চলা ছোট ছোট ঝরনা, ঝোড়া ও ছড়া দিয়ে বয়ে যাওয়া পানির কলকল শব্দ যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমীর হৃদয় আন্দোলিত করবে। সেই সঙ্গে ওই সব পাহাড়ি টিলার ওপর এবং সমতলে শত শত বছর ধরে বসবাসকারী আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠীর নানা সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও জীবন-জীবিকা পাহাড়ের সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করেছে। পাহাড়ের চূড়ায় ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে উঁচু-নিচু পাহাড়ের গায়ে মেঘ-রোদ্দুরের খেলা আর সীমান্তের ওপারের ভারতীয় অধিবাসীদের ঘর-বাড়ির  দৃশ্যে মন ছুঁয়ে যায়।

গজনি অবকাশ কেন্দ্র : ১৯৯৫ সানে শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শেরপুর জেলা সদর থেকে ২৮ এবং ঝিনাইগাতি উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে কাংশা ইউনিয়নে গজনি পাহাড়ের প্রায় ৯০ একর পাহাড়ি টিলায় ‘গজনি অবকাশ কেন্দ্র’ নামে একটি পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়।

এখানকার দর্শনীয় ও আর্কষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শিহরণ জাগানো পাহাড়ের চূড়ায় ‘সাইট ভিউ টাওয়ার’, সুরঙ্গপথে পাতালপুরী, শিশুপার্ক, মিনি চিড়িয়াখানা, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, মৎসকন্যা, ডাইনোসর, বাঘ, হাতি, জিরাফ, বানর, কুমির, হরিণসহ বিভিন্ন জীবজন্তুর প্রতিকৃতি। এছাড়া রয়েছে ছয় কক্ষবিশিষ্ট রেস্ট হাউস (শুধু দিনের বেলা ব্যবহারের জন্য)। অবকাশের উত্তর এবং পশ্চিম পাশে রয়েছে বিচিত্র জীবন-জীবিকার মানুষ আদিবাসী গারো-কোচ-হাজংসহ ছয় সম্প্রদায়ের লোকজন।

এখানে বিশ্রামের জন্য রয়েছে দুটি ভিআইপি কক্ষসহ চার কক্ষবিশিষ্ট ‘অবকাশ ভবন’ এবং লেকের উপর দুই কক্ষবিশিষ্ট ব্যক্তিগত ‘জিহান রেস্ট হাউস’। সরকারি বিশ্রামাগারে শুধু দিনের বেলার জন্য জেলা নেজারত শাখা থেকে ৫০০ টাকা অগ্রিম বুকিং দিয়ে ভাড়া নেওয়া যায় এবং ব্যক্তিগত রেস্ট হাউসটি ব্যাবহার করতে চাইলে এর মালিক জেলা শহরের রশিদা বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক ইদ্রিস মিয়া অথবা অবকাশ কেন্দ্রেই তার মনোনীত লোকের মাধ্যমে ভাড়া নেয়া যায়।

যেভাবে যাবেন : ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে শেরপুরের যাত্রবাহী ড্রিমল্যান্ড স্পেশাল সার্ভিসে সোজা শেরপুর জেলা শহরের নবীনগর বাস টার্মিনালে এসে সেখান থেকে লোকাল বাস টার্মিনালে যেতে হবে। ওখান থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা অথবা রিকশা করে যাওয়া যায়। সেখান থেকে লোকাল বাসে অথবা শহরের খোয়ারারপাড় মোড়ে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় ২০ কিলোমিটার সোজা উত্তরে সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলা সদরে গিয়ে আবার অটোরিক্সা অথবা সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় আরো প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তরে গজনি নামক গারো পাহাড়ের কাক্সিক্ষত অবকাশ কেন্দ্রে পৌঁছানো যাবে। ঢাকা থেকে শেরপুরের ভাড়া ২২০ টাকা। এখান থেকে ঝিনাইগাতি উপজেলা সদরের ভাড়া ২৫ টাকা এবং ঝিনাইগাতি থেকে অবকাশের ভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা।  

মধুটিলা ইকোপার্ক : ১৯৯৯ সনে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তরে এবং জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় ময়মনসিংহ বন বিভাগের ব্যবস্থাপনাধীন পোড়াগাঁও ইউনিয়নের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জের সমেশ্চূড়া বিটের আওতায় ৩৮০ একর পাহাড়ি টিলার ওপর মধুটিলা ইকো পার্ক নামে মনোরম পিকনিক স্পট গড়ে তোলা হয়েছে।

এখানে রয়েছে সুদৃশ্য প্রধান ফটক, ডিসপ্লে মডেল, তথ্য কেন্দ্র, গড়ি পার্কিং জোন, ক্যান্টিন, ওয়াচ টাওয়ার, মিনি চিড়িয়াখানা, মনোরম লেক ও বোটিং, স্টার ব্রিজ, স্ট্রেম্পিং রোড বা সুউচ্চ পাহাড়ে উঠার জন্য ধাপ রাস্তা (সিঁড়ি), মিনি শিশু পার্ক, মহুয়া রেস্ট হাউজ ইত্যাদি। পার্কের প্রবেশ পথ ধরে যাওয়া বিভিন্ন সড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে হাতি, হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, কুমির, ক্যাঙ্গারু, মৎস্যকন্যা, মাছ, ব্যাঙসহ বিভিন্ন জীবজন্তুর ভাস্কর্য।

এছাড়া আছে ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক প্রজাতির গাছের বাগান, মৌসুমী ফুলের বাগান এবং সাত রঙের গোলাপ বাগান। পার্কের উচু টিলার উপর তিন কামরাবিশিষ্ট সুদৃশ্য বাংলো বা ‘মহুয়া রেস্ট হাউস’ ব্যবহার করতে হলে ময়মনসিংহ অথবা শেরপুর বন বিভাগ অফিস থেকে প্রতিদিনের জন্য ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং ২০০ টাকা ভ্যাটসহ মোট ৪৭০০ টাকায় ভাড়া নিতে হবে।

যেভাবে যাবেন : ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে শেরপুর জেলা সদরে বেশ কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে। জন প্রতি ভাড়া ২২০ টাকা। এরপর শেরপুর জেলা সদরের লোকাল বাস স্ট্যান্ড থেকে নালিতাবাড়ি উপজেলার নন্নী বাজার পর্যন্ত লোকাল বাসে জন প্রতি ২০ টাকায় যাওয়া যাবে। এছাড়া মহাখালী থেকে সরাসরি নালিতাবাড়িতেও কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে। সেসব সার্ভিসে চড়ে শেরপুর জেলা শহরে না এসে সরাসরি নালিতাবাড়ি উপজেলা শহরে নামতে পারেন। এরপর নালিতাবাড়ি শহর থেকে মধুটিলা ইকো পার্ক পর্যন্ত রিক্সা বা অটোরিক্সায় যাওয়া যাবে। এতে জন প্রতি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা এবং রিজার্ভ ভাড়া নিবে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। এছাড়া শেরপুর জেলা শহর থেকে ভাড়ায় চালিত সিএনজি অটোরিক্সা অথবা মাইক্রোবাস ভাড়া করেও ইকো পার্কে যাওয়া যাবে। দিন চুক্তি ভাড়া ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।

এছাড়া মধুটিলা ইকো পার্ক থেকে ভোর ৬টায় প্রতিদিন ঢাকার মিরপুর পর্যন্ত এবং মিরপুর থেকে প্রতিদিন বেলা ২ টায় ইকো পার্ক পর্যন্ত যাতায়াত করছে। আর যারা ঢাকা থেকে নিজস্ব গাড়িতে আসতে চান তারা ময়মনসিংহ পার হয়ে সরাসরি শেরপুরের নকলা উপজেলা থেকে শেরপুর জেলা সদরে না এসে নালিতাবাড়ি উপজেলা হয়ে মধুটিলা যেতে পারেন।

তারানি পানিহাতা : নালিতাবাড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী তারানি এলাকায় মনোরম দৃশ্যের তারানি পাহাড় ও পাহাড় সংলগ্ন নদীকে ঘিরে গড়ে উঠছে পিকনিক স্পট। তবে এখানে সরকারি বা বে সরকারিভাবে কোনো অবকাঠামো গড়ে উঠেনি এবং যাওয়ার জন্য প্রশস্ত রাস্তা নেই। ফলে ওই স্পটে মোটর সাইকেল এবং মাইক্রোবাস বা প্রাইভেটকার ছাড়া যাওয়া খুবই দুস্কর। তবে কষ্ট করে একবার যেতে পারলে সব কষ্ট ও ক্লান্তি মিটে যাবে তারানি পাহাড় আর নদীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করার পর।

সেখানে গেলে দেখতে পাবেন উত্তরে ভারতের তুরা পাহাড়কে আবছা আবরণে ঢেকে আছে মেঘ-কুয়াশা। দূরের টিলাগুলো মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলছে যেন। তুরার অববাহিকা থেকে সামনে সোজা এসে পশ্চিমে চলে গেছে পাহাড়ি নদী ভোগাই। নদীর একপাশে শত ফুট উঁচু দাঁড়িয়ে থাকা সবুজে জড়ানো পাহাড়। নদীর টলটলে পানির নিচে নুড়ি পাথরগুলো ঝিকিমিকি করছে। সামনের একশ গজ দূরে ভারত অংশে আকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে মাঝেমধ্যেই ছুটে চলছে মালবাহী ট্রাক। চতুর্দিকে ছোট ছোট অসংখ্য পাহাড়ের সাড়ি। পাশেই খ্রিস্টানদের উপাসনালয়, ছোট একটি চিকিৎসা কেন্দ্র, বিদ্যালয় আর ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য হোস্টেল।

যেভাবে যাবেন : শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার এবং শেরপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে অবস্থিত এ স্থানটি। তবে ঢাকা থেকে শেরপুর জেলা শহরে না এসেই নকলা উপজেলা শহর থেকেই নালিতাবাড়ি যাওয়ার সহজ ও কম দূরত্বের রাস্তা রয়েছে। এরপর নালিতাবাড়ি  শহরের গড়কান্দা চৌরাস্তা মোড় হয়ে সোজা উত্তরে প্রথমে নাকুগাঁও স্থল বন্দরের কাছাকাছি গিয়ে পূর্ব দিকটায় মোড় নিয়ে ভোগাই ব্রিজ পাড়ি দিতে হয়। এরপর সোজা পূর্ব দিকে প্রায় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার গেলে চায়না মোড়। এ মোড়ে এসে আবারও গতিপথ বদলে যেতে হয় উত্তরে। উত্তরের এ রাস্তা ধরে প্রায় এক কিলোমিটার গেলেই পানিহাটা-তারানির মূল পয়েন্ট। ব্যক্তিগত উদ্যোগে রিকশা, সিএনজি অটোরিশা বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলেও যাওয়া যায় নালিতাবাড়ী শহর থেকে, মাত্র ৩৫-৪৫ মিনিটের ব্যবধানে এবং অল্প খরচের মধ্যেই। এতে মোটরসাইকেল ভাড়া আসা যাওয়ায় প্রায় দেড়শ টাকার মতো লাগতে পারে।

কোথায় থাকবেন : কেউ যদি বেড়াতে এসে জেলার উল্লেখিত স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে বা বিশ্রাম নিয়ে দেখতে চান এবং রাত্রিযাপন করতে চান তবে শেরপুর জেলা সদরেই থাকতে হবে। কারণ সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকার কোনো স্পটেই রাতযাপনের ব্যবস্থা বা অনুমতি নেই। এছাড়া উল্লেখিত স্থানগুলোতে এমনকি ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ি, শ্রীবর্দী উপজেলা সদরে রাতযাপন করার মতো কোনো আবাসিক হোটেল নেই। শেরপুর জেলা শহরে হাতে গোনা দু-তিনটি ভালো মানের আবাসিক হোটেল ছাড়াও ভিআইপিদের জন্য জেলা সার্কিট হাউস, জেলা পরিষদ ও এলজিইডির রেস্ট হাউস রয়েছে। সেখানে থাকতে হলে সংশ্লিষ্ট অফিসে অগ্রিম বুকিং দিতে হবে। জেলা পরিষদের রেস্ট হাউসের প্রতি কক্ষ এক রাতের জন্য ভাড়া ৫০ টাকা, এলজিইডির প্রতি কক্ষ ৫০ থেকে ১০০ টাকা এবং সার্কিট হাউসের প্রতি কক্ষ ৪০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। তবে সরকারি কর্মকর্তারা নামমাত্র ২০ থেকে ৫০ টাকা দিয়ে রাতযাপন করতে পারবেন। শহরের আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে হোটেল সম্পদ, হোটেল বাগানবাড়ি ও কাকলি গেস্ট হাউস অন্যতম। এসব হোটেলের রুম ভাড়া ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এসি রুমের ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।  

কোথায় খাবেন : সীমান্ত এলাকায় ভালো মানের খাবার হোটেল নেই। তবে শেরপুর শহরে আছে কয়েকটি। জেলার বাইরে থেকে এই এলাকার গারো পাহাড়ে বেড়াতে এসে রান্না-বান্নার ব্যাবস্থা না করতে পারলে শহরের ওইসব খাবার হোটেল থেকে খাবারের জন্য অগ্রিম বুকিং দিলে প্যাকেট সরবরাহ করা হয়।

এছাড়া আরো আছে : উল্লিখিত দর্শনীয় স্থান ছাড়াও জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার বারোমারি এলাকায় ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের বেথেলহাম বা ফাতেমানগরের আদলে ও অনুকরণে তৈরি করা উপজেলার বারমারী সাধুলিওর খ্রিস্টধর্মপল্লীতে ফাতেমা রানীর তীর্থ স্থান, ঝিনাইগাতী উপজেলার মরিয়মনগর ‘খ্রিস্টান ধর্মপল্লী’ এবং সীমান্তবর্তী সন্ধ্যাকুড়া রাবার বাগান, শ্রবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী কর্ণঝোড়া এলাকায় দর্শনীয় ‘রাজা পাহাড়’, একই উপজেলার সীমান্তবর্তী বাবলাকোনা মনোরম ‘খ্রিস্টান ধর্মপল্লী’ এবং স্থানীয় আদিবাসীদের মিনি মিউজিয়ামে ঘুরে আসতে পারেন।

এসব স্থানে শেরপুর জেলা শহর থেকে বিভিন্নভাবে যাওয়া যায়। লোকাল বাসে, মাইক্রো অথবা সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া করে যেতে পারেন। আর যদি শেরপুর জেলায় আপনার কোনো আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব থাকে তবে চিন্তা কি আর। ঈদের দিন অথবা ঈদের পরের দিনই বেরিয়ে পড়ুন শেরপুরের মনোরম গারো পাহাড়ের প্রকৃতিক দৃশ্য দেখতে।

বাংলাদেশ সময় ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১১   


সম্পাদক : লুৎফর রহমান হিমেল

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2025 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান