শুভ মহালয়া বৃহস্পতিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | আপডেট: ০০:২৩, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
শুভ মহালয়া

শুভ মহালয়া

ঢাকা: বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। সেই সঙ্গে শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা। তবে এ বছর মলমাসের কারণে ৩৫ দিনপর অর্থাৎ ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে শারদীয়া দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দশভুজা দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়ার মাধ্যমে। চণ্ডীপাঠ, মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজার মধ্য দিয়ে ভক্তকুল মর্ত্যলোকে আহ্বান জানান দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে।

পুরাণে আছে, দুর্গোৎসবের তিন পর্ব যথা: মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা। মহালয়ায় পিতৃপক্ষ সাঙ্গ করে দেবীপক্ষের দিকে যাত্রা শুরু হয়। সনাতন ধর্মে বলা হয়েছে, পিতৃপক্ষে প্রয়াত আত্মারা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আসেন। মৃত আত্মীয়-পরিজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনা করেন অনেকে। পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশে জল-তিল-অন্ন উৎসর্গ করে তর্পণ করা হয়। এরপর শুরু হয় দেবীপক্ষের। এই দেবীপক্ষকে বলা হয় সবচেয়ে শুভদিন। এ সময় সব ধরনের শুভ কাজ সম্পন্ন করা যায়।

মহালয়া উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দির ও পূজা কমিটি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। তবে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মহালয়ার আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে সকাল ৬টায় মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোররঞ্জন মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে। সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকেশ্বরী মন্দির আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা দাস গাঙ্গুলির।

তিনি আরও বলেন, এক ঘণ্টার এ আয়োজনে দেবী দুর্গাকে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ গীতিনাট্য প্রদর্শিত হবে। যেহেতু ৩৫ দিনপর পূজা হবে সেজন্য আমরা আনুষ্ঠানিকতা থাকে জমকালো করার চেষ্টা করছি। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

মহালয়ার এক মাসের বেশি সময় পর দুর্গাপূজা শুরু হওয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রধান পুরোহিত সাধন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, এক মাসে দুইটি অমাবশ্যা পড়লে সেই মাসটি আমরা অশুদ্ধ মাস হিসেবে মনে করি। একে মলমাস বলা হয়। এই আশ্বিন মাস হলো মলমাস। মলমাসে কোনো প্রকার ধর্মীয় কার্যক্রম হয় না। কারণ এ মাসটি অশুদ্ধ। যে কারণে এবারের পিতৃপক্ষ শেষ হওয়ার ৩৫ দিনপর দেবীপক্ষ শুরু হবে।

তিনি আরো বলেন, এবার দুর্গা মর্ত্যলোকে আসবেন দোলায় চড়ে। যার অর্থ রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধি। তবে ফেরার পথে দেবীর বাহন গজ বা হাতি। এর অর্থ শস্য-শ্যামলায় পরিপূর্ণ হবে আমাদের এই বসুন্ধরা।

বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০
ডিএন/এনটি


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু

ফোন: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮১, +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২১৮২ আই.পি. ফোন: +৮৮০ ৯৬১ ২১২ ৩১৩১ নিউজ রুম মোবাইল: +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৬, +৮৮০ ১৭২ ৯০৭ ৬৯৯৯ ফ্যাক্স: +৮৮০ ২ ৮৪৩ ২৩৪৬
ইমেইল: [email protected] সম্পাদক ইমেইল: [email protected]
Marketing Department: +880 961 212 3131 Extension: 3039 E-mail: [email protected]

কপিরাইট © 2006-2025 banglanews24.com | একটি ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের (ইডব্লিউএমজিএল) প্রতিষ্ঠান