
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: উজ্জ্বল ধর
চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ব্যক্তি স্বার্থে নয় সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্র ও সরকারের দৃষ্টিতে আনার জন্য দেশের নাগরিক হিসেবে ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন জে এম সেন ভবন বিকৃতি, বিনাশ ও অপসারণের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি।
তিনি বলেন, যতীন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত ও নেলী সেনগুপ্তর সম্পত্তি নিয়ে যেসব দলিল তৈরি করা হয়েছে সেগুলো দেশের কৃষ্টি-ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। ঐতিহাসিক ভবনটি আগের রূপে ফিরিয়ে দিয়ে বিপ্লবী স্মৃতি জাদুঘর করতে হবে।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জে এম সেন ভবন ভাঙার চক্রান্তের প্রতিবাদে ভবনটির সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন সাবেক চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, এই ভবন শুধু সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা যাত্রামোহন সেনগুপ্তের বাড়ি নয়, এখানে মহাত্মা গান্ধী, সুভাষ চন্দ্র বসু, শরৎ বসু, মোহাম্মদ আলী ও শওকত আলীসহ বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বাড়িটি প্রগতিশীল আন্দোলনের সূতিকাগার। এটি দখলের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
ঐক্য পরিষদ মহানগর শাখার সভাপতি প্রকৌশলী পরিমল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিতের পরিচালনায় বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, ডা. মাহফুজুর রহমান, ইন্দুনন্দন দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, সফর আলী, ড. জিনবোধী ভিক্ষু, খোরশেদ আলম, শৈবাল দাশ সুমন, জহরলাল হাজারী, টুম্পা গুহ, পংকজ চক্রবর্তী, রণজিৎ কুমার দে, সাংবাদিক আলিউর রহমান, অসীম কুমার দেব, অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ, অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, অ্যাডভোকেট অনুপম চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট চন্দন বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট যীশু কৃষ্ণ রক্ষিত, অ্যাডভোকেট রুবেল পাল, অ্যাডভোকেট অশোক দাশ, অ্যাডভোকেট স্বরূপ পাল, অ্যাডভোকেট প্রদীপ চৌধুরী, অজিত শীল, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, সুমন দেবনাথ, হিল্লোল চৌধুরী, সিঞ্চন ভৌমিক, বিমল দে, সিজার বড়ুয়া, রাহুল বড়ুয়া, বিজয় কৃষ্ণ জলদাস, তাপস হোড়, কল্লোল সেন, দোলন মজুমদার, বিশ্বজিৎ পালিত, সুমন দে, সুভাষ দাশ প্রমুখ।
বক্তারা চট্টগ্রাম জেলা যুগ্ম জজের প্রথম আদালত থেকে দেওয়া আদেশ এবং উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিসকে না জানিয়ে সরকারি অর্পিত সম্পত্তি দখল করতে পুলিশি তৎপরতার যথাযথ তদন্ত করা, অর্পিত সম্পত্তিটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা ও গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে পরিচালনা করার দাবি জানান।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সড়ক হয়ে চেরাগী পাহাড় প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২১
এসি/টিসি