
ঢাকা: ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্পের শতকরা ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন এর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ এবং চীনের চায়না কনসোর্টিয়াম কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সঙ্গে প্রতিষ্ঠান দু’টির প্রতিনিধিরা এ কথা জানান।
এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুল আলম এবং এসএম আলম, যুগ্ম-সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মো. আব্দুল ওয়াহেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চীন ও জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধিরা নরসিংদীর পলাশে নির্মাণাধীন ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রীকে অবহিত করেন। আগামী বছর নভেম্বর মাসে সার উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হবে। প্রতিনিধিরা প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যমান কিছু চ্যালেঞ্জের বিষয়েও মন্ত্রীকে অবহিত করেন। জাপানি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে একটি অত্যাধুনিক ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
শিল্পমন্ত্রী আশুগঞ্জে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক সার কারখানা স্থাপনের জাপানি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে শীঘ্রই সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) শুরু করতে সমঝোতা স্বাক্ষরের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
প্রতিনিধিদলকে নির্মাণাধীন ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্প’ বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, যেসব বিষয়ে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী ২০২৩ সালে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
জিসিজি/কেএআর