ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী

ডারহামে বন্যার সুর-ইন্দ্রজালে বিমোহিত বাঙালি

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, যুক্তরাজ্য থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১২
ডারহামে বন্যার সুর-ইন্দ্রজালে বিমোহিত বাঙালি

গত ১৩ই মে ব্রিটেনের ইস্ট ডারহাম কলেজে নর্দান ফ্রেন্ডস সার্কেল আয়োজিত রবীন্দ্র সার্ধশত জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মনোজ্ঞ এক রবীন্দ্র সঙ্গীতের আসর বসেছিল। ব্রিটেনের নর্থইস্টে বসবাসরত দুই বাংলার প্রবাসীদের সংঘঠন ফ্রেন্ডস সার্কেল প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী অধ্যাপিকা রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে আমন্ত্রিত করে নিয়ে আসে।



১৩ই মে বিকেল হতেই ডারহাম কলেজের থিয়েটার হল প্রবাসী বাঙালিদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর হয়ে উঠে। নর্থইস্টের বিভিন্ন শহরে কর্মরত প্রবাসী ডাক্তার, ব্যাবসায়ী, শিল্পীগণ তাদের পরিবার-পরিজনসহ উপস্থিত হন। মিলনায়তন ভর্তি দর্শকদের কলকাকলীতে বিকেল ৪.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যখন সুর তুলেন “আমারও পরাণে যাহা চায়...” মিলনায়ন ভর্তি দর্শকদের মাঝে তখন পিন-পতন নিরবতা চলে আসে, সবাই যেন বন্যার গাণে আর রবীঠাকুরের সৃষ্টির সাথে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন।

ডারহাম কলেজের মনোমুগ্ধকর আলো-আঁধারির শান্ত, স্নিগ্ধ, অনিন্দ্য সুন্দর মিলনায়তনে বর্ণিল আলোর বিচ্ছুরণে বন্যা রবীঠাকুরের জীবনের ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র ঘটনার উল্লেখের সাথে সাথে যখন সুর তুলেন বিশ্বকবির বিভিন্ন গানে, তখন যেন মনে হচ্ছিলো, শান্তিনিকেতনের আঙ্গিনায় বসে সাক্ষাৎ প্রিয় কবি রবীঠাকুরের সাথে বসেই সুর তোলা হচ্ছে।

একে একে বেশ কটি গান পরিবেশনের পর বন্যা যখন সুর তুলেন “যখন পরবেনা মোর পায়ের চিহ্ন এই ঘাটে”— মিলনায়তন তখন সমস্বরে গুণ-গুণিয়ে গেয়ে উঠে এমন এক আবহ তৈরি করে, যা তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ আসনের দর্শক গ্যালারিতে এক অপার্থীব পরিবেশের সৃষ্ঠি করে। অভূতপূর্ব এ পরিবেশ জানান দিয়ে দিলো, বাঙালি আজও ভালো গাণ ও শিল্পের কদর দিতে জানে, হোক না তা কষ্টে যাপিত বিদেশ বিভূঁইয়ে, ভিন আবহাওয়ায়!

ফ্রেন্ডস সার্কেল এর এই অনুষ্ঠানটিকে সফল করতে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো যৌথভাবে টিসাইড বেঙ্গলি ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ওভারসিজ লেডিস অর্গানাইজেশন, নিউক্যাসল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, জেম আর্টস ও নর্থইস্ট বেঙ্গলি পূজা অ্যাসোসিয়েশন।

অনুষ্ঠানে টিকেট মূল্য ছিলো ১৫ পাউন্ড করে, যাতে রাতের পারিবারিক আপ্যায়নসহ ড্রিঙ্কস এর ব্যবস্থা ছিলো।

মধ্যরাত অবধি চলা সুন্দর ও নির্মল, পরিচ্ছন্ন বিনোদনের এই অনুষ্ঠান উপভোগ করে প্রবাসী দর্শকবৃন্দ ফ্রেন্ডস সার্কেলের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা রেজওয়ানার গাণেরও অফুরাণ প্রশংসা করেন।

[email protected]

বাংলাদেশ সময় : ১৯৫৮ ঘণ্টা, ১৬ এপ্রিল, ২০১২
সম্পাদনা : আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর
[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।