যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে এখন চলছে নির্বাচনী ঝগড়া, বাক-বিতণ্ডা। চলছে হাতি-গাধার লড়াই।
এদের মধ্যে ৩৮ শতাংশই ঝগড়া বাঁধিয়েছেন বন্ধুর সঙ্গে। ৩০ শতাংশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর ১৬ শতাংশ সহকর্মীর সঙ্গে। আর অন্তত ১০ শতাংশ রয়েছেন যারা ভীষণ মুখিয়ে আছেন। তাদের ঝগড়া চলেছে কর্মস্থল, পরিবার আর বন্ধুদের আড্ডা সবখানেই।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যকের মত, তারা বুঝতেই পারছেন না তর্কে তার প্রতিপক্ষ আসলে বলতেই কি চান। ৩৯ শতাংশ আমেরিকান, যাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই আবার ডেমোক্র্যাট, তাদের ভাষ্য, আসলে কী করে একজন আমেরিকান রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করতে পারে কিংবা ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে কথা তার বুঝতেই পারছেন না।
অন্যদিকে ৪২ শতাংশ আমেরিকান, যাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ রিপাবলিকান রয়েছেন তার বুঝতে পারছেন না হিলারি ক্লিনটনের মতো একজন প্রার্থীকে কিভাবেই সমর্থন করা যায়।
এর চেয়েও বড় ইস্যু ও মত পার্থক্য রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ভিন্নমতের মানুষগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্কটিও খুব কাছের নয়। মাত্র ২৮ শতাংশ আমেরিকান রয়েছেন যাদের পরিবারের কিংবা বন্ধুদের কেউ একজনের ভিন্ন মত বা ভিন্ন পছন্দ রয়েছে। এসব পরিবার হিলারিকে সমর্থন করলে মাত্র ১ জন সদস্য ট্রাম্পকে আর ট্রাম্পকে সমর্থন করলে মাত্র ১ সদস্য হিলারিকে সমর্থন করছেন।
রিপাবলিকানদের অর্ধেকেরই মত, তাদের পরিবারের কোনও একটি সদস্য, কিংবা তাদের কোনও একজন বন্ধুও হিলারিকে সমর্থন করেন না। আর ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এমন লোক রয়েছেন অন্তত ৫৫ শতাংশ যাদের চৌহদ্দির কেউই ট্রাম্পের কথা শুনতে পারেন পারেন না।
যেসব পরিবারে দুই শিবিরের লোকই রয়েছেন তারা জানালেন, অতীতে অনেক নির্বাচনেই তারা ভিন্ন দলের সমর্থন করে শান্তিতে কাটিয়েছেন কিন্তু এবার ঝগড়া-ঝাটি বেশ হচ্ছে। প্রতি চার জনের তিনজনই বলছেন, একবার না একবার তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়েছেই।
বাংলাদেশ সময় ১২৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৬
এমএমকে