ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

জোড়া কবিতা | মোহীত উল আলম

কবিতা / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৫
জোড়া কবিতা | মোহীত উল আলম

বন্দী
___________________________________

কাকুতি যখন তখন ছিল, কানের কাছে মন্ত্র
ফিসফিস করে যেন বাতাস বলত, তার ছবি—
পা ডোবান, বালিমাখা জল, মেঘের আড়ালে সূর্য—
যদি থাকত, কামড়ে ধরা স্মৃতিগুলো অত্যুজ্জ্বল।
অহরহ দেখাদেখির যুগ চলছে আজ, যেন
ভ্রূণলোক থেকে শুরু করে মগজের শেষ রন্ধ্রে
গোপন থেকে গোপনতর চিন্তা খালি করে ফেলা,
যেন ত্রিশালের পাঙ্গাস ভোরবেলা নামে ঢাকায়।


এসব দেয়া-নেয়ার ভিড়ে চিত্রিত কলেবরে যে
বাঙ্ময়তা কোলের যন্ত্রে কিংবা মুঠোফোনে, সময়
যেন বন্দী, পাশাপাশি বসে তারা বন্দী, ছোট ছোট
শিউলি ফুলের মতো ছোট ছোট বাক্য বিনিময়।
আকাশের তারার মেলার এ বিপুল ইন্দ্রজালে
কোথাও কেন যে তুমি নেই—আমার হারানো তারা!


শ্যামাপাখি রে
___________________________________

ভালোবাসাগুলো শ্যামাপাখির খয়েরি ডানায় লুটুরপুটুর
খাচ্ছিল, মোবাইলে তাকে ধরার আগে সে উড়ে গেল।
কয়েক সপ্তাহ আগে এক অচীন পাখি শিকারী বন্দুক
দুলিয়ে বলেছিল, ‘চলেন, আমাদের গ্রামে, বিলের প্রান্তরে,
হাতের টীপ ঠিক থাকলে, গোটা বিশেক পড়বে। ’
কপালের এক বিন্দু ঘাম সকালের রৌদ্রে তেজে উঠলে,
শুনলাম, ‘আইন ওখানে আমার হাতে, ঘাবড়াবেন না,
সালমান খান হবেন না। ’ মানুষ যখন হাঁটে লম্বা রাস্তায়,
মনে হয় আকাশটা পেছনে পেছনে থাকে, আর পাখিটা
যখন উড়ে গেল, মনের আকাশটা তার পেছন পেছন গেল।
এই গ্রামের মহিলারা বহু বছর হাঁটুর ওপর শাড়ি তুলে
আঙ্গিনা পার হয়ে ধানের জমিতে নেমেছে, বহু গবাক্ষ
এই গ্রামের ঘরে ঘরে বড় রাস্তাটার ওপর চোখ রেখেছে,
কবে একটা শ্যামাপাখির ছবি তুলবার জন্য মোবাইল
হাতে এক পথিক ব্যর্থতার প্রতিমূর্ত হয়ে দাঁড়াবে!





বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।