১.
আগুনখেকো তুমি
আগুনমুখো নদী
সরসর সরীসৃপ
মাথাভর্তি কোঁকড়া চুল
ঠোঁটে গোলাপি আভা
পথ একটা দেখা যাচ্ছে
পথ একটা খুলে গেল
একদা সেখানে ছিল নীরবতা
এবং ছিল না কোনও গন্ধম ফল
যা খেয়ে বানালে ড্রাগনের পৃথিবী
ক্রমে ক্রমে এইরূপ ছায়া গজায়
যেন আর দেহ নাই
দেহহীন কায়াহীন ব্রহ্মার চোখ
নলাকার দণ্ড, নল আকার পৃথিবী
তাই খেয়ে খেয়ে স্মৃতি ছারখার
জ্বলে চোখ জ্বলে বিস্ফার
জ্বলে লুসিফার
আগুনের চোখ
২.
রাত ভোর হয়ে এলো
কিসমিস, আখরোট সব ছিল পকেটে ভরা
বোতলের ছিপি খুলতেই অর্গানিক ড্রিঙ্কস
তুমি কি ওইখানে ছিলে?
কালো শীতল মেঝেতে?
চারপাশে বহু পথ, কবিগান, সমগীত
আমিও ছিলাম তোমার সাথে
এক বিন্দু সর্ষে হয়ে
সর্ষের ভূত—
কোনও কথাই আর জানা যাবে না
অথবা যা কিছু জেনেছো
তাও তো বানিয়ে বানিয়ে
রাক্ষসপুরীর ব্যাঙমা-ব্যাঙমী
ঘুমন্ত ডালিমকুমার
কেউ তোমাকে জাগাতে পারে নি
তুমি পারো নাই কাউকে
লুসিফার তবু রাত জেগে থাকে চোখে আগুন
লুসিফার তবু ঘুমিয়ে পড়ে
হাতে মৃত্তিকা
৩.
এখানে অনেক রোদ্দুর, বারুদ, লোবানের গন্ধ
পথে পথে সোনাঝুরি
রাঁধাচূড়া, অম্লজান
ছুঁয়ে থাকো প্রেম ও পারদ
নকল এনামেলে বানানো দাঁত
ছুঁয়ে থাকো হর্ষ ও বিষাদ
জল্লাদখানার আর্তনাদ—
ছিঁড়ে টুকরো করে বানিয়েছো যত মন্দির মিনার
তার শরীরে রক্তের গন্ধ
তার শরীরে মীনজাতক
জলে জলে সলিল সমাধি
করাতের দাঁত, করাতের চোখ
কাটো পুস্তক, আসমানী কিতাব
ভেঙে দেখ কোথায় সে নরকের কীট
রে পাষণ্ড আগুনের আত্মা
পুড়ে ছাই হ
পুড়ে পুড়ে নাই হয়ে যাও সোনাভান
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৫
শিল্প-সাহিত্য
লুসিফার | নভেরা হোসেন
কবিতা / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।