ঢাকা, রবিবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ জুন ২০২৪, ০৮ জিলহজ ১৪৪৫

শিল্প-সাহিত্য

সব বইই সোনামণিদের

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
সব বইই সোনামণিদের

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মেইন গেট দিয়ে ঢুকে ডানদিকে ছোটখাটো চত্বর। দু’পাশে সারি সারি বইয়ের স্টল।

ছোট্ট সোনামণিরা হুটোপুটি করে খেলছে। হঠাৎ কী মনে করে দৌড়ে এসে এসে দেখে যাচ্ছে বই। নেড়ে-চেড়ে উল্টে-পাল্টে কতোভাবে যে দেখছে। অন্যদিন হলে ধমক আসতো, অ্যাই একদম হাত দেবে না! কিন্তু এখানে এমনটি নেই। কারণ, এটি তাদেরই রাজ্য। দেখা শেষে কোনোটা মনে ধরলে ছুটে গিয়ে ডেকে আনছে মাকে। সোনামণির বায়না আর মায়ের বাছবিচার- এ দুই মিলে চলছে শিশুদের বইমেলা।

শিশু একাডেমির আয়োজনে এই নিয়ে শিশুদের বইমেলা ছয়বার। প্রতিবছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ) উপলক্ষে ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে মেলা চলে ২৬ মার্চ পর্যন্ত।


এ বছর শিশু একাডেমিসহ বইয়ের স্টল বসেছে ৫২টি। রঙ-বেরঙের মজার সব বই নিয়ে তারা হাজির। ছড়ায় ছড়ায় বর্ণমালা, ভূতের নাম রমাকান্ত কামার, দেখ আর আঁক, ব্রাজিলের কল্পকাহিনী, তিন পেয়ারা তিন বোন, হেডস্যার ও কাঁচা তেতুল, ব্যাঙবাবু ও লিপিমণি, সৌরভের হারানো ‍ঘুড়ি... কী নেই সেখানে!

প্রতিদিন মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টা থেকে। ছোট্টবন্ধুদের নাচ, গান, ছড়া, কবিতা প্রভৃতি দিয়ে সাজানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ৮টায়। তবে ছুটির দিনে মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায়।


কর্মদিবসে ভিড়ভাট্টা একটু কম হলেও ছুটির দিনে নবীন প্রাণের ঢল নামে। দেখতে দেখতে মেলাও শেষ হয়ে এলো। শনিবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসের দিন মেলার পর্দা নামবে। সোনামণিরা, যারা এখনও যাওনি, এক্ষুণি মায়ের আঁচল টেনে মেলায় নিয়ে চলো। যারা গিয়েছো তারা তো গুড বয়-গুড গার্ল। সকাল সকাল পড়া শেষ করে আবারও ঘুরে এসো। একসঙ্গে এতো এতো মজার বই সামনে বছরের আগে আর কিন্তু পাবে না!

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৬
এসএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।