অভিযোগ অনুযায়ী, সোমবার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই বাংলা হলে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার মো. আব্দুর রাকিব শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য।
অন্যদিকে, অভিযুক্তরা হলেন মো. অভি সরকার এবং মো. কাউসার। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী এবং ভাষা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অভির বন্ধু জাহিদ এবং রাকিব একই কক্ষে থাকেন। রোববার (১৩ মে) রাতে ভুলবশত রাকিবের জুতা নিয়ে চলে যান অভি। রাতেই অভিকে ফোন করে জাহিদ জুতা ফিরিয়ে দিতে বলেন। সোমবার (১৪ মে) সকালে রাকিবের কক্ষের সামনে অভি জুতা রেখে যান। বিকেলে অভি ও কাউসার আবার ওই কক্ষে গেলে রাকিব ও অভির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অভি ও কাউসারসহ কয়েকজন রাকিবকে মারধর করেন। পরে সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এসে তাদের শান্ত করেন।
রাকিবের অভিযোগ, সকালে জুতা ফিরিয়ে দেওয়ার পর বিকেলে অভি আবার আমার রুমে আসে। এ সময় কেন সে জুতা নিয়েছিল জানতে চাইলে সে ও তার বন্ধুরা মিলে আমাকে মারধর করে।
রাকিব আরো অভিযোগ করে বলেন, আবাসিকতা ছাড়াই সাদ্দাম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অভি, কাউসারসহ তার কয়েকজন অনুসারীকে হলে সিট দিয়েছে। আমার রুমমেট জাহিদ এ হলের ছাত্র হলেও এখনও আবাসিকতা পায়নি। সাদ্দামের নির্দেশেই জাহিদ কয়েক সপ্তাহ ধরে আমার রুমে অবস্থান করছে।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে অভি ও কাউসার জানান, জুতা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তাই বিকেলে তারা রাকিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাকিব আর অভির মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছি। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
হলে সিট দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ওরা রাতে হলে থাকে না। এ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রায়ই হলে যাওয়া আসা করে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল বলে শুনেছি। আমি ঢাকায় আছি। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ক্যাম্পাসের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশ দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
এসআই