শনিবার (১৪ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী দুইজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ও তার বান্ধবী লীনা।
তারা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের সিফাত উল্লাহ এবং ছাত্রলীগের ওই হল কমিটির সদস্য শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মোল্লাহ মো. আলে ইমরান পলাশ।
বিশ্ববিদ্যালয়সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত কমিটির নিকট দুই জনের নাম দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা বাংলানিউজকে জানান, আসাদুজ্জামান ও লীনা বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং) সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা একটি রিকশা ডাকছিলেন কার্জন হলে যাওয়ার জন্য। এসময় ১০-১২ জন ছাত্র (অভিযোগেরভিত্তিতে সবাই ছাত্রলীগ কর্মী) তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। ওই দুই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা তা জানতে চান ও আইডি কার্ড দেখাতে বলেন। ওই দুই শিক্ষার্থী তাদের আইডি কার্ড দেখান। তা স্বত্বেও একাধিক শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামানকে মারধর করে।
সঙ্গে থাকা বান্ধবী তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
ঘটনার পর রাত ৯ টার দিকে লীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানান। পরে রাত দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাকসুদ কামাল এসে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেন। তিনি ভুক্তভোগীদেরকে ঘটনার বিবরণ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর একটি দরখাস্ত লিখতে বলেন। আহত ওই দুই শিক্ষার্থীকে তিনি হলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন এবং তাদের চিকিৎসারও বন্দোবস্ত করেন।
মারধরের শিকার লীনা বাংলানিউজকে জানান, আমাদের ক্যাম্পাসে আমাদের কেন মারা হলো শুধু সেটুকু জানতে চাই। বিনা কারণে প্রথম বর্ষের ছাত্ররা আমাদের মারল। কেন মারল, আমাদের ক্যাম্পাসে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?
এ বিষয়ে অধ্যাপক মাকসুদ কামাল সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন অনুসারে আমরা ন্যায্য বিচার করব। ভবিষ্যতে যেন ঢাবি ক্যাম্পাসে আর এমন ঘটনা না ঘটে তেমন বিচার করব।
তিনি হলের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে দোষীদের সনাক্ত করা হবে বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
এসকেবি/এমএএম/এসআইএস