নির্বাচন ঘিরে গবেষণা সংস্থা রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি) পরিচালিত তিনটি জনমত জরিপের পর এই ফলাফল জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। জুলাইজুড়ে এই জনমত জরিপের আয়োজন করে সজীব ওয়াজেদের টিম।
রোববার (২৯ জুলাই) সজীব ওয়াজেদের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এবিএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে রয়েছেন ৫৮ শতাংশ ভোটার। এখানে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে সায় দিয়েছেন ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার। আর অন্য প্রার্থীদের পক্ষে বলেছেন ০ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার। এছাড়া রাজশাহীতে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। জরিপে উত্তর দেননি ৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার। নিবন্ধিত ১ হাজার ২৯৪ ভোটারের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
বরিশালে মেয়র পদে নৌকার প্রতীকধারী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোটার। এই পদে ধানের শীষের প্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ারের পক্ষে বলেছেন ১৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার। অন্য প্রার্থীদের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার। আর উত্তর দেননি ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার। এখানে জরিপটি চালানো হয় ১ হাজার ২৪১ নিবন্ধিত ভোটারের ওপর।
সিলেটে ১ হাজার ১১৯৬ জন নিবন্ধিত ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৩৩ শতাংশ ভোটারের। ২৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন রয়েছে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে। অন্য প্রার্থীদের পক্ষে রয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটারের সমর্থন। আর উত্তর দেননি ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার।
গবেষণা পদ্ধতি ও জরিপের কৌশলগত নানা দিক তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘তিন সিটির ভোটার তালিকা ধরেই এ জরিপ হয়েছে। আদমশুমারিতে জনসংখ্যার লিঙ্গভিত্তিক যে ধরন আছে, তার ওপর ভিত্তি করেই জরিপটি চালানো হয়েছে। জরিপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে থেকে এবং অংশগ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট সিটিরই ভোটার। ’
আরডিসির গবেষণা পদ্ধতি ও ফলাফল সাধারণত নির্ভুল হয়ে থাকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা তার পেজে লিখেছেন, যে জরিপের ফল তুলে ধরলাম, তাতে কিছুটা হেরফের হতে পারে। ... তবে আমি যথেষ্ট আস্থা নিয়ে বলতে পারি, বরিশাল ও রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপুল বিজয় হবে। সিলেটে আমরা সামান্য এগিয়ে, তবে সেখানে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘হেন অভিযোগ নেই যা বিএনপি করেনি। তবে বাস্তবতা হলো তারা সর্বত্র জনসমর্থন হারিয়েছে। আর গত কয়েক বছরে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তা বেড়েছে আওয়ামী লীগের। এখন কোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য বিএনপি কোনো বিষয় নয়। ’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রতি আবেদন জানিয়ে জয় আরও লিখেন, নির্বাচনী কেন্দ্র দখল এবং জোরপূর্বক ব্যালট পেপার ভরানোর চেষ্টার বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। কারণ, বিএনপি এসব কর্মকাণ্ড নিজেরা করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করবে। গাজীপুরের নির্বাচনের সময় বিএনপি নেতাদের ফোনালাপের কথা আমরা জানি। তাদের যে জেতার কোনো অবস্থা নেই, সেটা তাদের প্রার্থীরা প্রচারণার সময় মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছেন। আর তাই তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করে আওয়ামী লীগকে বিপাকে ফেলতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৮
এইচএ/