শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গতকাল সংসদে সমাপ্তি অধিবেশেনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হয়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরা আশ্রস্ত করছি- স্বাধীন সাংবাদিকতা ও বাকস্বাধীনতা; কোনভাবেই গণতন্ত্রের এ দুটি শাখা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আমরা সেভাবেই আইনটির বাস্তবায়নে যাব।
নতুন রাজনৈতিক জোট ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফন্ট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা স্বাগত জানিয়েছি। তারা অনুমোদন চেয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, পুলিশ কমিশনারসহ সবাইকে। যারা সোহরাওয়ারর্দী উদ্যানে সভা করতে চায়, নিবন্ধনকৃত যেকোন দলই সভা-সমাবেশ করার অনুমোদন চাইলেই তাদের অনুমোদন দেওয়া হবে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বইয়ের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার লেখা বই তিনি প্রকাশ করবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে বিদেশের মাটিতে বসে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন? তিনি বইটি দুই তিন মাস পরেও প্রকাশ করতে পারতেন। এ সময় প্রকাশ করা এবং এতে সরকারবিরোধী অপপ্রচার, উস্কানি না দিলেও পারতেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতির মনে কষ্ট থাকতে পারে, জ্বালা থাকতে পারে। তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে নিজেই সেচ্ছায় সরে গেছেন। বিদেশে গিয়ে তিনি মনগড়া তথ্য দিয়ে সরকারবিরোধী মহলের জন্য, তাদের অপপ্রচারের সুবিধার জন্য যদি বইটি এ সময়ে বইটি প্রকশ করে থাকেন তাহলে মনে হয় একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি তার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরে ফোর লেনের কাজ চলছে, ফ্লাইওভরের কাজ চলছে, র্যাপিড ট্রানজিটের কাজ চলছে। মেয়রকে বলেছি বিআরটিএ ও হাইওয়েতে যারা আছে তাদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। কাজ করতে গিয়ে যাতে জনদুর্ভোগ না হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, সড়ক বিভাগের ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আরএস/এমজেএফ