টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদা খানমের আদালতে ওই মামলায় এমপি রানাকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কাশেম এবং রফিকুল ইসলাম জেরা করেন। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাকে জেরা করা হয়।
এর আগে সকালে এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইলে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের কার্যক্রম শেষে দুপুরের দিকে ফের কাশিমপুর নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আদালত মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন।
২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর এমপি আমানুর রহমান খান রানার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। এ ঘটনায় বাপ্পীর সঙ্গী আব্দুল মতিন নামক এক ব্যক্তিও নিহত হন। ঘটনার পর এমপি রানার বাবা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা করেন।
মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দুই ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা বিএনপির নেতা আলী ইমাম তপন, পৌর কমিশনার রুমি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রৌফসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ২০০৭ সালে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন।
এমপি রানা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অভিযোগভুক্ত আসামি। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৮
জিপি