তিনি বলেছেন, একদিন আগেও কেউ এটা ভাবেননি। আগে আমিও বলেছি সংলাপ হবে না।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
এর আগে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট। সেখানে সাত দফা দাবি এবং ১১টি লক্ষ্য সংবলিত চিঠি দেয় গণফোরাম-বিএনপিসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত এ জোট।
এতে সাড়া দেন প্রধানমন্ত্রী। ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওবায়দুল কাদের জানান, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেওয়া সংলাপ প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে আওয়ামী লীগ। এরপর মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ।
এই সংলাপ প্রস্তাব ও সাড়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. কামাল যখন চিঠি দিয়ে সংলাপের আগ্রহ জানান, তখন আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করেছি। আমাদের দলের সভানেত্রী এই সংলাপে সাড়া দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন- যেহেতু তারা দেখা করতে চেয়েছেন, শেখ হাসিনার দরজা তাদের জন্য খোলা, তারা দেখা করতে পারবেন। এজন্য আমরা দলের অন্যরাও নেত্রীর সুরে কথা বলেছি। কোনো কালক্ষেপণ করিনি। আজই চিঠির জবাব দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় এই সংলাপ হবে।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংলাপ হচ্ছে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে । এই জোটের প্রধান হিসেবে আমরা ড. কামালের নাম জানি। তবে আমরা শিওর নই, তিনিই এই জোটের প্রধান নাকি লন্ডনে এর নেতা রয়েছেন। তবে আমরা মনে করি ড. কামাল একজন মানি ও নীতিবান মানুষ। তার নিশ্চয়ই একটি ভালো লক্ষ্য রয়েছে। আমাদের নেত্রী তাকে চাচা হিসেবে দেখেন।
ওবায়দুল কাদের নিজে সংলাপের বিষয়টিকে বড় করে দেখছেন জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই (আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক) আব্দুল জলিল ও (বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব) আব্দুল মান্নান ভুইঁয়ার সংলাপের কথা জানি। সে সময় কিন্তু হাসিনা-খালেদা সংলাপ হয়নি। অথচ এবার হাসিনা-কামাল সংলাপ হচ্ছে।
সংলাপ যা কিছুই হতে পারে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা ও ১১ লক্ষ্যকে আমরা সংলাপের আগেই নাকচ করছি না। তাদের দফার দুই একটি বিষয় আছে সংবিধান সংশোধনের বিষয় ও দুই একটি বিষয় আছে নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তবে সব কিছুই এখন টেবিলে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। খোলা মনেই আলোচনা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপে কারা অংশ নেবেন আজই কামাল হোসেন সেই তালিকা পাঠাবেন। তা দেখেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তার দলের তালিকা ঠিক করবেন। তবে আমার মনে হয় না সংলাপে নিবন্ধন নেই এমন দল বা জামায়াত অংশ নেবে। এটা ঠিক করবেন ঐকফ্রন্ট প্রধান। যদিও তিনি আগেই বলেছেন, জামায়াত তার জোটের অংশ নয়।
ঐক্যফ্রন্টের প্রধানকে দেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতির চিঠিতে সংবিধানিক শাসন ব্যবস্থা ও দেশের চলমান গণতন্ত্র যেন অব্যাহত থাকে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
আরএম/এইচএ/