ঢাকা: তদন্তকাজ নির্বিঘ্ন করতে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য যথাসময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন।
বৃহষ্পতিবার বেইলি রোডের মিনির্স্টাস অ্যাপার্টমেন্টে ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে বাংলানিউজকে তিনি জানান, তারা গত ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২য় দফায় তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন। এসময় তদন্ত দলে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মতিউর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক শ্যামল চৌধুরী এবং মো. নুরুল ইসলাম।
নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার এবং আলবদর বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তারাই এবার তাদের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সাক্ষীদের অনেকেই নির্যাতনের কারণে পঙ্গু হয়েছেন, মারাত্মক আহত অনেকেই ধুঁকে ধুঁকে দিন কাটাচ্ছেন। তারা রাজাকার বাহিনীর নির্যাতনের প্রত্যক্ষ সাক্ষী। মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব স্থানে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে, কিভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তারা সেসবেরও প্রত্যক্ষদর্শী।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. নুরুল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবেই তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর যে সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণের জন্য সেগুলো আইনগতভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।
কাদের নির্দেশে এসব হয়েছে জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম নাম উল্লেখ না করে বলেন, কার নির্দেশে এসব হয়েছে একথা নতুন করে আর কিছু বলার নেই।
তিনি বলেন, এর আগে আমরা যখন চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম তখন দেখেছি, অনেকে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছিলেন। কারণ অভিযুক্তরা সবাই বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, স্বাধীনতার পর থেকেই তারা মুক্ত, সমাজে প্রতিষ্ঠিত, অনেকেই প্রচণ্ড প্রভাবশালী। তাই তদন্ত কাজ নির্বিঘ্ন করার জন্য অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য ট্রাইব্যুনালের কাছে আমরা আবেদন জানাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১০