ঢাকা: জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এ বছরের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম। ১৮৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪৬তম অবস্থানে থাকলেও লিঙ্গ সমতার বিচারে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারতসহ অন্য সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত বছরের তুলনায় দেশের উন্নয়নের সূচকে কিছু পরিবর্তন হলেও অবস্থানের তেমন হেরফের হয়নি। বাংলাদেশের যৌথভাবে ১৪৬তম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান।
শুক্রবার বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত রিপোর্টের ‘দক্ষিণের দেশগুলোর ক্রমউন্নতি’ চ্যাপ্টারে এ অবস্থান নির্দেশ করা হয়।
প্রতি বছর মানুষের গড়আয়ু, সাক্ষরতা, শিক্ষা, মাথাপিছু আয় ও লিঙ্গ সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউএনডিপি।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে রিপোর্ট প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এর বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়।
সার্বিক মানব উন্নয়নে দ্রুত এগিয়ে চলা ১৮ দেশের তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান অর্জনে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৯ দশমিক ২ বছর গড়আয়ু, জনপ্রতি গড়ে ৪ দশমিক ৮ বছর শিক্ষাগ্রহণ এবং ১ হাজার ৭৮৫ ডলার মাথাপিছু আয় নিয়ে এবারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছে ০.৫১৫-তে।
এসব মাপকাঠিতে সর্বোচ্চ ০.৯৫৫ স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থান অর্জন করেছে নরওয়ে।
২০১২ সালে বাংলাদেশ যৌথভাবে ১৪৭তম অবস্থানে ছিল জানিয়ে ইউএনডিপি’র ঢাকাস্থ কর্মকর্তারা বলেছেন, গবেষণা পদ্ধতি পরিবর্তন হওয়ায় বিগত বছরের সঙ্গে এবারের তুলনার সুযোগ নেই।
ইউএনডিপির কর্মকর্তারা জানান, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে দারুণ অগ্রগতি দেখালেও পাকিস্তানের গড় আয় বেশি হওয়ায় গড়ে দেশ দুটির অবস্থান সমান হয়ে গেছে।
বিভিন্ন বিভাগে দ্রুত উন্নয়নের নজির সৃষ্টিকারী চীন, ভারত, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, “ভারতের তুলনায় অর্ধেক আয় নিয়ে বাংলাদেশ মানব উন্নয়নে প্রায় ভারতের সমান উন্নতি করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উন্নতির মাপকাঠিতে দেশটিকে ছাড়িয়েও গেছে। ”
সংবাদ সম্মেলনে ইউএনডিপি কান্ট্রি ডিরেক্টর পলিন ট্যামেসিস বলেন, “বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত যেসব ব্যতিক্রমধর্মী সংকট মোকাবেলা করছে তার তুলনায় বাংলাদেশের উন্নতি অসামান্য। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষের উন্নতি দেশের মোট অর্থনৈতিক অর্জনের চেয়ে শক্তিশালী। মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ১৯৮০ সালের স্কোরের তুলনায় ৬৫ শতাংশ এগিয়েছে। ”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান এবং ইউএনডিপির সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএএম মোরশেদ সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর, [email protected]