ঢাকা: জাপানে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি চুল্লিতে বিস্ফোরণের পর দেশটির কিছু এলাকার বাতাসে তেজস্ক্রিয়তা ছড়ালেও বাংলাদেশে তা ছড়িয়ে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন পরমাণু বাংলাদেশ শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ফরিদ উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, ‘এ ঘটনায় বাংলাদেশে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
মঙ্গলবার বাংলানিউজকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন পরমাণু কমিশন চেয়ারম্যান।
জাপানের ওই বিস্ফোরণের পর এদেশে আদৌ কোনো প্রভাব পড়বে বা পড়ছে কীনা তা নিয়ে পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের গবেষকরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও জানালেন ড. ফরিদ উদ্দিন। একই কথা বলেছেন কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার মোল্লা।
পরমাণু শক্তি কমিশনের পর্যবেক্ষণের ফল বুধবার জানা যাবে বলেও জানান তারা।
সুনামির পর পারমানবিক চুল্লিতে বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তা বাংলাদেশেও আসতে পারে বলে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আলোচনা চলছে। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার তৃতীয় চুল্লিটির বিস্ফোরণের পর এ আশঙ্কার কথা মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ প্রেক্ষাপটেই পরমাণু শক্তি কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
পারমানবিক চুল্লির বিস্ফোরণের তেজস্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে ড. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘জাপানের এই বিস্ফোরণের তেজস্ক্রিয়তা এদেশে আসার কোনো কারণ নেই। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে জাপানের দুরত্ব কয়েক হাজার কিলোমিটার। এতদূর সরাসরি বাতাসে ভেসে এর তেজস্ক্রিয়তা আসতে পারে না। আর বাতাসের গতিপথটিও ভিন্ন। ’
‘জাপান থেকে বাতাসের গতি পূর্ব দিকে প্রবাহিত হওয়ায় এটি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর দিকে যেতে পারে’ বলেই জানান তিনি।
ড. ফরিদ বলেন, ‘জাপানে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও তা দেশটির মধ্যে এবং এর আশেপাশের এলাকার জন্য ক্ষতিকর হবে। ’
একই প্রসঙ্গে কথা হয় পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার মোল্লার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের আতঙ্কিত হবার কোনো কারণই নেই। কয়েক হাজার মাইল দূর থেকে এ ধরণের পদার্থের প্রভাব এদেশে পড়তে পারে না। ’
প্রসঙ্গত, জাপানে শুক্রবার ৮ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ফুকুশিমা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর চুল্লিতে শনিবার ও ৩ নম্বর চুল্লিতে সোমবার এবং ২ নম্বর চুল্লিতে মঙ্গলবার সকালে বিস্ফোরণ ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১১