ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

বাংলানিউজ স্পেশাল

ফতোয়ার ব্যাখ্যার জন্য ৫ আলেম নির্বাচন করল ইসলামিক ফাউন্ডেশন

জাকিয়া আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১১
ফতোয়ার ব্যাখ্যার জন্য ৫ আলেম নির্বাচন করল ইসলামিক ফাউন্ডেশন

ঢাকা: ফতোয়া ব্যাখ্যাকারী হিসাবে পাঁচ আলেমকে শনিবার চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এরা হচ্ছেন- গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং সম্মিলিত কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মাওলানা রুহুল আমিন, চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মোহাম্মদ কিফায়াত উল্লাহ, ঢাকা গেণ্ডারিয়ার নেসারিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কফিল উদ্দিন সরকার, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পর্যালোচনা কমিটির পক্ষে বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষা সচিব মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মুফতি অব্দুল্লাহ আল মারুফ।



সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে ফতোয়া সংক্রান্ত প্রশ্নে ব্যাখ্যা ও মতামত দেওয়ার জন্য এদের নির্বাচন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
 
এ পাঁচ আলেমের মতামত নিতে ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১০ মার্চ প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বিভাগ এ নির্দেশ দেন।

তবে আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি গ্রহণ করায় সেদিন তিনি এ মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না।
 
আগামী ২১ মার্চ আপিল বিভাগে ফতোয়া সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। ওই দিনের মধ্যেই এ পাঁচ আলেম লিখিতভাবে অথবা হাইকোর্টে হাজির হয়ে ফতোয়া কাকে বলে, বাংলাদেশে এর বর্তমান অবস্থা এবং এর প্রয়োগ সর্ম্পকে নিজেদের মতামত তুলে ধরবেন।
 
সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তারা আজই (শনিবার)  এ ব্যাপারে বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বৈঠক করেন। সেখানে পাঁচ সংস্থার ২৫ কর্মকর্তা মিলে ওই পাঁচজনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেন।

 পরে ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল তাদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করেন।

এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার বড় মুফতি, আলেম এবং অধ্যক্ষরা জড়িত ছিলেন।

তিনি আরও জানান, এ পাঁচ আলেম তাদের বক্তব্য আগামীকাল রোববারের ভেতরেই লিখিত আকারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাবেন।

মহাপরিচালক সেটা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজন করে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেবেন।

পরে তাদের যদি শুনানিতে যেতে হয় তাহলে সেখানেও যেতে তারা প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনি।
 
আজকের সভায় নির্বাচিত পাঁচ আলেমও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ১৭ তারিখে নির্বাচিত পাঁচ মুফতিকে আজকের সভায় উপস্থিত থাকার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০০১ সালে হাইকোর্টের রায়ে ফতোয়াকে নিষিদ্ধ করা হলে ওই বছরই আপিল করেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং মুফতি আবু তৈয়ব।

এরপর আপিলের শুনানি শুরু হয় ২০০৪ সালে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।