ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ মে। ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে।
আশফাকের হয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ লাঠিসোটা ও লোকজন নিয়ে আশফাক-বিরোধীদের উপর হামলা করেন। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। বিব্রত হন সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। সভার প্রধান অতিথি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বক্তব্য না রেখেই চলে যান। ঘটনার দু’দিন পর আশফাক এবং ১৮ মে নাজিম উদ্দিন বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা পরে একে অপরের নামে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে মোবাইল ফোনে বুধবার যোগাযোগ করা হয় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঙ্গে। কিন্তু এ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেন, ‘ওইদিনের ঘটনার বর্ণনা চেয়ারপার্সনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত। ’
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা যুবদলের আহবায়ক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আবু আশফাক তার আগে জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলেন। সংগঠনে স্থবিরতা দেখা দেয়ায় ২০১০ সালে তাকে বাদ দিয়ে আমাকে জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়। জেলা বিএনপির প্রতিনিধিসভা চলাকালে আবু আশফাক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে প্রকাশ্যে গালমন্দ করে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। ’
নাজিম আরও জানান, তিনি ১৮ মে রাতে দলের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তার গুলশান কার্যালয়ে দেখা করে আশফাকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের লিখিত অভিযোগ করেছেন। চেয়ারপার্সন যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই চূড়ান্ত।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদের সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার তার মোবাইলে কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
জেএম