বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২২তম দিনে বইমেলার শেষ শিশু প্রহর শনিবার। শিশুরা যেন সাচ্ছন্দে বই কিনতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে সকাল ১০টায় কেবল মাত্র শিশু-কিশোর এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য মেলা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
শিশু প্রহরের প্রথম ভাগে মেলা প্রাঙ্গণ কিছুটা ফাঁকা থাকলেও সকাল ১১টা নাগাদ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মধ্যে পাঠ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে এক ঝাঁক শিশু নিয়ে মেলায় প্রবেশ করে স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।
গায়ে স্পৃহা’র সাদা টি-শার্ট ‘চল বইমেলায় যাই উদ্যোগ-২০১৪’ কপালে বাঁধা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৪’। প্রত্যেকেই প্রথমবার এসেছে বইমেলায়।
বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাইফুলের সঙ্গে। প্রথমবার মেলায় এসে প্রিয় লেখক আনিসুল হকের হাত থেকে তাঁর লেখা ‘নির্বাচিত হাসির গল্প’ বই উপহার পেয়ে আনন্দে আটখানা সাইফুল।
সে বলে, এই প্রথম এসেছি বইমেলায়। খুব ভাল লাগছে মেলায় এসে। এরপর প্রতি বছরই আসবো মেলায়।
তৌহিদুর রহমান নামে এ ক্ষুদে শিক্ষার্থী জানায়, বইমেলা টেলিভিশনে দেখেছি। প্রথমবার এসে খুব ভাল লাগছে। আনিসুল হক স্যার আমাদের সঙ্গে গল্প করেছেন, ভাইয়ারা (স্পৃহার কর্মকর্তা) বই কিনে দিয়েছেন।
স্পৃহার শিক্ষক জনি বাংলানিউজকে বলেন, গত এক বছর সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করছে। তাদের লেখাপড়া শেখানো, সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য শেখানো হয়। মেলার শেষ শিশু প্রহরে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের ৫,৬ এবং ৮ শ্রেণীর ৫৭ জন শিশুদের নিয়ে আসা হয়েছে।
তাদের পছন্দ মতো বই কিনে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এদের বই ডোনেটও করেছে। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মধ্যে যেন পাঠ্য অভ্যাস গড়ে ওঠে সে উদ্দেশেই আমাদের ‘চল বই মেলায় যাই’ এ উদ্যোগ।
পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিশুর কলকাকলিতে মুখোরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ।
শিশুরা মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উদ্দেশে প্রতি শনিবার ৮, ১৫ ও ২২ ফেব্রুয়ারি এবারের বইমেলায় শিশুপ্রহর ঘোষণা করে বাংলা একাডেমি।
এছাড়া শিশুদের জন্য বাংলাএকাডেমির পক্ষ থেকে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চের সামনে শিশু কর্নার সাজানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪