শনিবার (২২ জুলাই) বেলা ১১টায় প্রধান অতিথি থেকে মেলার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
এ সময় তিনি বলেন, পরিবেশরক্ষায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণসহ প্রতিটি সেক্টরে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে বৃক্ষই আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন, যা আমরা গাছ থেকে পাই। এজন্য বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষনিধন থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আগের তুলনায় মানুষ এখন বেশি বৃক্ষরোপণ করছে। বন ও পরিবেশ রক্ষায় সরকারের নানামুখি কর্মসূচি প্রণয়নের ফলে দেশে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি পরিত্যক্ত ও খালি জায়গায় গাছ লাগাতে হবে। সব মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং ১টি গাছ কাটলে কমপক্ষে ৩টি গাছ লাগাতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, উপপুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুল রহমান, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. আবু হেনা ওয়াহিদুল করিম, বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বশির উল আল মামুন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন নার্সারি মালিক সমিতির সহ সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে খুলনা শহীদ হাদিস পার্ক থেকে ৠালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউজ মাঠ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে। পক্ষকালব্যাপী এ মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের স্টলসহ মেলায় মোট ৫২টি স্টল রয়েছে। এছাড়া একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ রয়েছে।
বৃক্ষরোপণ অভিযানের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘বৃক্ষরোপণ করে যে, সম্পদশালী হয় সে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এমআরএম/জেডএস