যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষকদের দেওয়া তথ্য থেকে অবাক করার মতো সংখ্যাটা জানা যায়।
গত ৭০ বছরে বিশ্বে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৮৩০ কোটি মেট্রিক টন প্লাস্টিক দ্রব্য।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোলজিস্ট রোলান্ড গেয়ার বলেন, এই পরিমাণ প্লাস্টিক দিয়ে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম রাষ্ট্র আর্জেন্টিনার সম পরিমাণ এলাকা ঢেকে ফেলা সম্ভব।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে। উল্লিখিত পরিমাণ প্লাস্টিকের প্রায় অর্ধেকই উৎপাদন করা হয় গত ১৩ বছরে।
গবেষকদের দেওয়া এমন তথ্য গোটা বিশ্বকে আতংকে ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কারণ, ফেলে দেয়া প্লাস্টিক দ্রব্য বছরের পর বছর একই ভাবে পরিবেশে বিচরণ করে। ব্যাপক পরিমাণের প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশ দূষণ ছাড়াও, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবন বিপন্ন করে তুলতে সক্ষম। আর শুধু নয় শতাংশ তৈরি প্লাস্টিক রিসাইকেল করা হয়। এর ফলে প্রতি বছর প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ বিপজ্জনক হারে বাড়ছে।
২০১৫ সালের গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রায় ১৯০ কোটি পাউন্ড প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে ফেলা হচ্ছে। এই হার বছরপ্রতি দ্বিগুণ আকারে বাড়ছে।
পৃথিবীর জনসংখ্যা সমস্যা মোকাবেলায় স্বল্প মূল্য ও অধিক টেকসই প্লাস্টিক দ্রব্যের জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী আরও বেড়েই চলছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে এর উৎপাদন। এই বিপজ্জনক দ্রব্যটির হাত থেকে পরিবেশ ও জীবনকে বাঁচানোর বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষকে আরও বেশি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান গবেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৭
এনএইচটি/এসএনএস