সিলেট থেকে : তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছিল বেশ কিছু রেকর্ডই। এর আগে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি করতে পারেননি।
এর চেয়েও বড় সুযোগ ছিল তার সামনে। পাঁচ নম্বরে খেলতে নেমে পুরো বিশ্বেই কেউ সেঞ্চুরি করতে পারেননি অভিষেকে, তাওহিদ হতেন প্রথম। কেবল ৮ রানের জন্য পারেননি সেটিও। গ্রাহাম হিউমের বলে বোল্ড হন তিনি ৮৫ বলে ৯২ রান করে।
সেঞ্চুরি করার আফসোস কি আছে? সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রশ্নটি শুনে তিনি বলছিলেন, ‘আমি শুরুতে আউট হতে পারতাম। যেটা হয়েছে সেটা আলহামদুলিল্লাহ। যেটা হয়েছে শুকরিয়া। ’ পরে আবারও একই প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘এটা হয়তো রিজিকে ছিল। ভবিষ্যতে হবে ইনশাআল্লাহ। ’
‘আসলেই কোনো আক্ষেপ নেই। অভিষেকে এত রান—সেটিও চিন্তা করি। ভবিষ্যতে যাদের অভিষেক হবে তাদের জন্য শুভকামনা, তারা যেন আরও ভালো করে। ’
কখন হৃদয়ের বদলে যাওয়ার শুরু? তিনি বলছিলেন, ‘শেষের আগের বিপিএল খারাপ খেলার পর থেকেই। তখন থেকেই চিন্তা করেছিলাম, বদলানো দরকার। অনুশীলন থেকে শুরু করে মানসিক চিন্তা-ভাবনা, সবখানেই চেষ্টা করেছি—যতটুকু বদলানো যায়। ’
এই সময়টাতে কার সঙ্গে কাজ করেছেন? হৃদয়ের জবাব, ‘অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছি। এইচপিতে ছিলাম, ঘরোয়াতে খেলেছি। সুজন স্যারের সঙ্গে কথা হতো। সোহেল স্যারের সঙ্গে সবসময় কথা হয়েছে, সুজন স্যারের সঙ্গে। এহসান স্যারও ছিল। ’
বাংলাদেশ সময় : ২২৫৩ ঘণ্টা, ১৮ মার্চ, ২০২৩
এমএইচবি