ক্রিকেটের পাশাপাশি হকিতেও পারদর্শী ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিকে ফিল্ড হকিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন অস্ট্রেলিয়াকে।
মিডল ব্যাটার হিসেবে আস্থার জায়গাতে তো ছিলেনই, পার্ট-টাইম অফ স্পিনার হিসেবেও কদর ছিল বুথের। টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি ও ১০ ফিফটিসহ ৪২.২১ গড়ে ১ হাজার ৭৭৩ রান করেন এই ডানহাতি। বল হাতে উইকেট নিয়েছেন তিনটি। কাকতালীয়ভাবে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ারও সুযোগ মেলে। ১৬৬৫-৬৬ অ্যাশেজে অসুস্থতার কারণে দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক বব সিম্পসন। সেই সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে অজিদের নেতৃত্ব দেন মুবুথ। যদিও তৃতীয় ম্যাচের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ হয়নি তার।
শুরুটা হয়েছিল ১৯৬১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই। মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে পাকা করে নেন নিজের জায়গা। দুই বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্রিজবেন টেস্টে ১৬৯ রান ও সিডনি টেস্টে অপরাজিত ১০২ রানের ইনিংসটি এখনো স্মরণীয় করা হয় তাকে। তবে বুথের কাছে নিজের সবচেয়ে প্রিয় ইনিংসটি ছিল পোর্ট অফ স্পেনের মাটিতে। চার্লি গ্রিফিথ, ওয়েসলি হলের মতো কিংবদন্তি বোলারদের সামলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১৭ রান করেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই সেঞ্চুরি আমাকে প্রচুর তৃপ্তি দিয়েছে। ’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮৩ ম্যাচ খেলা বুথ ৪৫.৪২ গড়ে করেছেন ১১ হাজার ২৬৫ রান। সেঞ্চুরি করেছেন ২৬ টি। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেছেন কেবল একটি। সেটাতেও খেলেছেন ৭৯ রানের দারুণ এক ইনিংস।
ক্রিকেট ছাড়ার পর শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন বুথ। নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি সরকারি স্কুলে ১২ বছর কাটিয়েছেন শিক্ষক হিসেবে। তবে ক্রিকেটের প্রতি নজর ছিল বেশ ভালোভাবেই। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে স্লেজিং এখন অপরিহার্য অংশই বলা যায়। তবে ২০০২ সালে এমন কৌশলের জন্য তৎকালীন অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহর সমালোচনা করে খবরের শিরোনাম হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এএইচএস