মিরপুর টেস্টের আগে সাকিব আল হাসান ছিলেন কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনি খেলবেন কি না- এ নিয়ে বিভিন্ন নাটকীয়তার পর শেষ অবধি দেশেই আসতে পারেননি তিনি।
এরপর মাঠের ক্রিকেটে একদমই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই টেস্ট খেলেই অবসরে যাওয়ার কথা ছিল সাকিবের। ম্যাচশেষের সংবাদ সম্মেলনেও তাই চলে এলেন তিনি। সাকিবকে মিস করেছেন? প্রশ্নটা ছিল দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের বিষয়টা তো আমরা সবাই জানি। তিনি কী কারণে আসতে পারেননি বা খেলতে পারেননি, এটা আমার মনে হয় না কারও কাছে অজানা। তিনি একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। বাংলাদেশের হয়ে তিনি অনেক অর্জন করেছেন। অস্বীকার করতে পারব না। যেহেতু একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয়, সবাই তার পাশে থাকা উচিৎ। ’
সাকিব প্রায়ই দলের জন্য ত্রাতা হয়েছেন তিন ফরম্যাটে। তার বিকল্প পাওয়া যে সহজ হবে না, এ নিয়েও বিভিন্ন সময়ে অনেকে কথা বলেছেন। মিরপুর টেস্টের আগে ব্যাটিংয়ে মিরাজ আরেকটু ভালো করলে অভাব কিছুটা কমতে পারে, এমন বলেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
মিরপুর টেস্টে সেটি করেও দেখিয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১০৬ রানে অলআউট হয়ে পিছিয়ে পড়েছিল ২০২ রানে। ১১২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলার পর একটা সময় ভর করেছিল ইনিংস হারের শঙ্কাও। তখন ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। ব্যাটিংয়ে কি সাকিবের অভাব পূরণ করতে পারবেন?
মিরাজ বলেন, ‘সবাই সবসময় একটা কথা বলে যে, সাকিব ভাইয়ের জায়গায় আমি আসব। একটা জিনিস দেখেন, সাকিব ভাই কিন্তু অনেক বড় অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হয়ে। প্রায় ১৭ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আর আমারটা যদি দেখেন, ধারাবাহিক রান করা শুরু করেছি মাত্র এক-দুই বছর। ’
‘সাকিব ভাই শুরু থেকেই রান করেছেন। তাই সাকিব ভাইয়ের জায়গায় সাকিব ভাই, আমি আমার জায়গায়। একজন ক্রিকেটারকে আরেকজনের সঙ্গে তুলনা না করাই শ্রেয় আমার মনে হয়। আমরা সবাই জানি, সাকিব ভাইয়ের অর্জন কত। আর আমি যেখানে ব্যাটিং করি... ৭-৮ নম্বরে। সাকিব ভাই সবসময় টপ-অর্ডারে (ওপরের দিকে) ব্যাটিং করেছেন। তো এটা একটা বাধা। আমার যখন সময় আসবে, অবশ্যই আমি চেষ্টা করব দলের প্রয়োজনে ভালো করতে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ