দলের আশেপাশে তাকে দেখা গেছে অনেক সময়ই। কিন্তু কখনো থিতু হতে পারেননি নিয়মিত একাদশে।
ডারবানে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ৬১ রানের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২০২ রান করে সফরকারীরা। জবাবে ১৩ বল আগে ১৪১ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও রবি বিষ্ণোই শিকার করেন তিনটি করে উইকেট।
৫০ বলের ইনিংসে সাতটি চার ও দশটি ছক্কা মারেন স্যামসন। এর আগে সবশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষেও হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ও প্রথম ভারতীয় ব্যাটার তিনি।
ম্যাচসেরা হওয়ার পর দুঃসময়ের কথা শুনিয়ে স্যামসন বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি সফলতার চেয়ে ক্যারিয়ারে ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছি বেশি। ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে গেলে মনের মধ্যে অনেক সন্দেহ চলে আসে। নিজেকে নিয়ে সংশয় শুরু হয়। লোকে অনেক কথা বলে এবং অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা আছে এখানে।
‘তখন নিজের ভেতর প্রশ্ন ওঠে, আমি কি আসলেই আন্তর্জাতিক মানের নই? আইপিএলে ভালো করছি, তাহলে কেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে পারছি না? এমন অনেক ভাবনা আমার মাথায় আসত। তবে এতো বছরের অভিজ্ঞতায়, নিজের সামর্থ্য নিয়ে জানা আছে আমার। ’
‘যদি ক্রিজে কিছুটা সময় কাটাতে পারি, তাহলে শট খেলার সামর্থ্য আছে আমার এবং আমি জানি, দলের হয়ে অবদান রাখতে ও ম্যাচ জেতাতে পারব আমি। তাই বারবার নিজেকে বলে এসেছি, বিষয়টা আসলে তেমন নয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৪
এএইচএস