ইনজুরির কারণে ছিটকে যান নাজমুল হাসান শান্ত। তার বদলে অধিনায়কের দায়িত্ব উঠেছে মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে, তাও আবার নিজের শততম ম্যাচে।
বাংলাদেশের ১৩তম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০তম ওয়ানডে খেলতে আজ মাঠে নেমেছিলেন মিরাজ। এই ম্যাচে করছেন ক্যারিয়ারের প্রথম অধিনায়কত্বও। ম্যাচটি তাই ঠিকঠাকভাবেই রাঙালেন এই অলরাউন্ডার। যদিও ধীরগতিতে খেলতে থাকেন। তবে পেয়েছেন ফিফটির দেখা। এই যাত্রায় খেলতে হয়েছে ১০৬ বল। তাকে সঙ্গ দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও পেয়েছেন ফিফটির দেখা। তবে তার লাগে ৬৩ বল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭৫ রান।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা নড়বড়ে হয় বাংলাদেশের। তৃতীয় ওভারেই প্রথম স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ওপেনার তানজিদ। তবে সেখানে থাকা গুলবাদিন নায়িব দুই হাত দিয়েও বল ধরতে পারেননি। পরের ওভারে আবার জীবন পান তানজিদ। এবার গজনফরের বলে সুইপে তুলে মারতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন বাংলাদেশের ওপেনার। আফগান অধিনায়ক শহীদি দৌড়ে গিয়েও ক্যাচ নিতে পারেননি।
তানজিদ ঠিমকতো ব্যাটে-বলে করতে না পারলেও সৌম্য সরকার এই ম্যাচেও ছন্দে থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। আর তাতে ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৫ রান করে বাংলাদেশ। একসময় বিনা উইকেটে ৫০ পেরিয়ে যায় তারা। কিন্তু সৌম্য এবার আর ইনিংস টেনে নিতে পারেননি। ২৩ বলে ২৪ রান করে ওমরজাইয়ের বলে বল স্টাম্পে টেনে এনে প্লেড-অন হন সৌম্য। এরপর ১০তম ওভারে মোহাম্মদ নবির প্রথম বলেই কাভার পয়েন্টে হাশমতউল্লাহকে ক্যাচ দেন তানজিদ। ২৯ বলে ১৯ রান করেন তিনি।
পরের ওভারেই মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন জাকির। ওমরজাইয়ের বলে পয়েন্টে টোকা দিয়ে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন মিরাজ। অন্য প্রান্ত থেকে জাকির দৌড়ে পিচের অর্ধেক পথ চলে আসার পর 'না' করেন মিরাজ; কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। খারোতের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন ৭ বলে ৪ রান করা জাকির।
বিনা উইকেটে ৫০ পার হওয়া বাংলাদেশ ১১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ৬১ রান। দলীয় ৭০ পার হওয়ার পর বিদায় নেন তাওহীদ হৃদয়। ১৪ বলে ৭ রান করে রশিদ খানের বলে গুলবাদিন নায়িবের হাত ক্যাচ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
আরইউ