ঢাকা: টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৮ ওভার থেকে ৩০৪ রান তুলেছে স্কটল্যান্ড। স্কটিশদের হয়ে ১৫৬ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলে বিদায় নেন কোয়েটজার।
বিশ্বমঞ্চে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আইসিসির সহযোগী সদস্য স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন।
বাংলাদেশের হয়ে বোলিং সূচনা করতে আসেন টাইগার দলপতি মাশরাফি। প্রথম ওভারে ৯ রান দিলেও নিজের দ্বিতীয় আর দলের তৃতীয় ওভারে স্কটিশ ওপেনার ক্যালাম ম্যাকলউডকে ফেরান মাশরাফি। মাহামুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ম্যাকলউড।
তাসকিনের করা দশম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরেন গার্ডিনার। তাসকিনের লাফিয়ে উঠা বলে শট নিতে গেলে কাভারে দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন গার্ডিনার। আউট হওয়ার আগে তিনি ৩২ বলে তিনটি চারে ১৯ রান করেন।
টাইগারদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে বড় জুটি গড়ার আভাস দিচ্ছিলেন স্কটিশ দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান। তবে, ২৪তম ওভারের শেষ বলে সাব্বির রহমান বিদায় করেন ম্যাট মাচানকে (৫০ বলে ৩৫ রান)। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ লুফে নেন সাব্বির। একদিনের ক্রিকেটে এটিই সাব্বিরের অভিষেক উইকেট। আউট হওয়ার আগে মাচান ৭৮ রানের জুটি গড়েন কোয়েটজারের সঙ্গে।
টস জিতেও আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। তবে, মাশরাফির এ সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে একের পর এক জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় স্কটিশরা। কোয়েটজার আর মমসেন মিলে আরও ১৪১ রানের জুটি গড়েন। নাসির হোসেনের বলে ব্যক্তিগত ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন মমসেন।
এরপর নাসিরের আঘাতে বিদায় নেন শতক হাঁকানো কোয়েটজার। তবে, আউট হওয়ার আগে তিনি ১৩৪ বলে ১৭টি চার আর চারটি ছয়ে করেন ১৫৬ রান। এর আগে রুবেল হোসেনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক পূর্ণ করেন কোয়েটজার। আর এটিই স্কটল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম সেঞ্চুরি।
দলীয় ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানো স্কটল্যান্ড পাওয়ার প্লে’তে দুই উইকেট হারিয়ে তোলে ৩৯ রান। আর ২০ ওভার শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান। ৩০ ওভার শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় তিন উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান।
চলতি আসরে নিউজিল্যান্ডের ভেন্যুতে বাংলাদেশের এটিই প্রথম ম্যাচ।
বিশ্বকাপের আসরে ১৬ বছর বছর পর নিউজিল্যান্ডের নেলসনের সেক্সটন ওভালে টাইগাররা আবার মুখোমুখি হয়েছে স্কটল্যান্ডের। ১৯৯৯ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই এসেছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়।
২০০৬ সালে অবশ্য দ্বিপাক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড দু’বার মুখোমুখি হয়। দুটি ম্যাচেই সহজ জয় পায় টাইগাররা। ওই সিরিজে খেলা মাশরাফি, সাকিব ও মুশফিক রয়েছেন এবারের বাংলাদেশ শিবিরে।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, এনামুল হক, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন।
স্কটল্যান্ড দল: ক্যালাম ম্যাকলউড, কোয়েটজার, এইচজেডব্লিউ গার্ডিনার, ম্যাট মাচান, প্রেস্টন মমসেন (অধিনায়ক), রিচি বেরিংটন, ম্যাথু ক্রস (উইকেটরক্ষক), জশ ডেভি, মাজিদ হক, অ্যালসডায়ার ইভান্স ও ইয়ান ওয়ার্ডল।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, ০৫ মার্চ ২০১৫
** কোয়েটজারের শতক, ফিরলেন মমসেন
** বেড়েই চলেছে টাইগারদের অপেক্ষা
** উইকেটের অপেক্ষায় টাইগাররা
** জুটি ভাঙলেন সাব্বির
** দলীয় শতক পেরুলো স্কটল্যান্ড
** ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টায় স্কটিশরা
** ম্যাশ, তাসকিনে নিয়ন্ত্রণে স্কটিশরা
** শুরুতেই মাশরাফির আঘাত
** স্কটিশ বধে ফিল্ডিংয়ে নেমেছে টাইগাররা
** টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে টাইগাররা